ওষুধের খরচ সাশ্রয় করুন বেকিং সোডা দিয়েই। ছবি: শাটারস্টক।
গেরস্ত বাড়ির হেঁশেলে এমন কিছু উপাদান থাকে, যার ব্যবহার শুধু রান্নার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তেমনই একটি উপাদান হল বেকিং সোডা। কেক নরম তুলতুলে করা থেকে রান্নাঘর পরিষ্কার— সবেতেই কাজে লাগে বেকিং সোডা। রান্না ছাড়াও রান্নাঘরের আর কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যায় এটি?
বেকিং সোডার নানা গুণ:
১) দাঁত মাজার পরেও মুখ থেকে দুর্গন্ধ না গেলে এক গ্লাস জলে এক চা চামচ বেকিং সোডা দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। বেকিং সোডা দুর্গন্ধ দূরে করে। এমনকি, দাঁত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেও এর জুড়ি মেলা ভার।
২) ভিনিগার ও বেকিং সোডার মিশ্রণেও রুপোর গয়না ভাল পরিষ্কার হয়। একটি পাত্রে আধ কাপ ভিনিগার ও দু’চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে মিনিট পাঁচেক তাতে রুপোর গয়না ডুবিয়ে রেখে দিন। তার পর মিশ্রণ থেকে তুল ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
৩) অনেক সময়েই পোকামাকড়ের কামড়ে ত্বক জ্বালা করে। সূর্যের আলোয় চানড়া পুড়ে যায় অনেক সময়ে। সে ক্ষেত্রে র্যাশের জায়গায় জল মেশানো বেকিং সোডা লাগালে জ্বালা কমবে।
৪) সারা দিন হাঁটাহাঁটির পর ক্লান্ত লাগাই স্বাভাবিক। ঈষদুষ্ণ জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। আরাম পাবেন।
৫) বুক জ্বালা করলে বা অম্বলের সমস্যা হলে এক গ্লাস জলে এক চামচ বেকিং সোডা দিয়ে খেয়ে ফেলুন। বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট কার্যকরী অ্যান্টাসিড। খাওয়ার মুহূর্ত থেকেই ফল পাবেন।
৬) সমপরিমাণে নুন ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। হেঁশেলের যে পথে পিঁপড়ের আনাগোনা, সেখানে ছড়িয়ে রাখুন। পিঁপড়ে পালাবার পথ পাবে না।