Chatakpur

পুজোর ছুটিতে কাছে-পিঠে কোথায় যেতে চান? কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন সবুজে ঘেরা চটকপুর থেকে

সারা বছর ব্যস্ততার কারণে ছুটি পাননি? এ বারের পুজোটা শহর ছাড়িয়ে কাছে-পিঠে কোথাও কাটাতে চাইলে যেতে পারেন উত্তরবঙ্গের চটকপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৫৪
Share:

দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং মহাকুমার একটি শান্ত, নির্জন জায়গা চটকপুর। ছবি- সংগৃহীত

শরৎকাল আসতে এখনও কিছু দিন বাকি। পুজো আসা মানেই লম্বা ছুটি। অনেকেই এই ছুটিটা কাজে লাগাতে পুজোয় শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। এ বারের পুজোটা শহর ছাড়িয়ে কাছে-পিঠে কোথাও কাটাতে চাইলে যেতে পারেন উত্তরবঙ্গের চটকপুরে।

Advertisement

দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং মহাকুমার একটি শান্ত, নির্জন জায়গা চটকপুর। হিমালয়ের বেশ কয়েকটি শৃঙ্গ এখান থেকে দেখা যায়। চটকপুরের যে দিকে তাকাবেন চারিদিকে শুধু সবুজের ছোঁয়া। ঘন জঙ্গল আর অপার নৈঃশব্দ্য। দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখির কলতানে মাঝেমাঝে তা ভেঙে যায়। পাহাড় থেকে নীচে তাকালে দেখা যায় জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি শহরের কিছু অংশ। গোটাটাই যেন একটি ক্যানভাস।

চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন করেই কেটে যাবে দু’টি দিন। ছবি- সংগৃহীত

কী দেখবেন চটকপুরে?

Advertisement

কাছেই রয়েছে পবিত্র একটি জলাশয় ও সূর্যোদয় দেখার একটি স্থান। টাইগার হিলের থেকে এটি কোনও অংশে কম নয়। চাইলে সোনাদা হয়ে ঘুম মনাস্ট্রি যেতে পারেন। জঙ্গলের পথ ধরে হেঁটে চলে যাওয়া যায় টাইগার হিল। তবে নিতে হবে গাইড। চটকপুরে সরকারি উদ্যোগে এখন অর্গানিক ফর্মিং হচ্ছে। পর্যটকরা গ্রামে হেঁটে দেখতে দেখতে কিনতে পারেন সব্জিও। আর কিছুই না করতে চাইলে হোমস্টের ঘরে বসে পাখির ডাকের মধ্যে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন করেই কেটে যাবে দু’টি দিন।

কী ভাবে যাবেন?

কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। গাড়ি ভাড়া করে চলে যান চটকপুর। দার্জিলিং যাওয়ার পথে তিন মাইল মোড় থেকে সেনচাল অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার। যাওয়া যায় সোনাদা থেকেও।

কোথায় থাকবেন?

চটকপুরে থাকার জন্য রয়েছে ইকো হাট। ভাড়া মোটামুটি মাথাপিছু ১৫০০ টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে একাধিক হোম স্টে। পছন্দ অনুযায়ী কোনও একটিতে থাকলেই হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement