শামিকে বলেছি, অন্তত পনেরো বছর তোকে ভারতের হয়ে খেলতেই হবে

ভারত-পাক ম্যাচে তফাত গড়ে দিতে পারেন মহম্মদ শামিএই কথা বলছেন স্বয়ং ওয়াসিম আক্রম। ক্রিকেটের দুই চিরশত্রু দল মাঠে নামার চব্বিশ ঘন্টা আগে আনন্দবাজারকে যা বললেন শামির আইডল।

Advertisement

কুন্তল চক্রবর্তী

ঢাকা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৪ ০৩:১২
Share:

ভারত-পাক ম্যাচে তফাত গড়ে দিতে পারেন মহম্মদ শামিএই কথা বলছেন স্বয়ং ওয়াসিম আক্রম। ক্রিকেটের দুই চিরশত্রু দল মাঠে নামার চব্বিশ ঘন্টা আগে আনন্দবাজারকে যা বললেন শামির আইডল।

Advertisement

প্রশ্ন: গত এক বছরে শামি বিরাট উন্নতি করেছেন এবং সে জন্য তিনি পুরো কৃতিত্ব দেন আপনাকে।

Advertisement

আক্রম: আমি শুধু ওকে উন্নতির রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছি। ও যা করছে, তার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ ওর। আমার নয়। ওর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের জন্যই শামি আজ নিজেকে এই জায়গায় আনতে পেরেছে। ভারতের মতো একটা দলের হয়ে মাঠে নেমে, যাবতীয় চাপ সামলে টানা আট মাস ধরে ভাল পারফর্ম করে যাওয়াটা মোটেই সোজা নয়। প্রতি দিন ও উন্নতি করছে। আমার তো খুবই ভাল লাগছে যে, অন্য দেশের একজন বোলার আমার দেখানো রাস্তায় হেঁটে এত সফল হচ্ছে।

প্রশ্ন: এই উন্নতির ঠিক কারণগুলো কী?

আক্রম: শামির মাইন্ড-সেট। ওর ফিটনেস আছে। দক্ষতা আছে। কিন্তু ইতিবাচক মানসিকতাটাই তফাত গড়ে দিয়েছে। আমি ওকে বলেছি, তোকে ভারতের হয়ে অন্তত পনেরো বছর খেলতেই হবে। স্পনসরশিপ, টাকা, আইপিএল— এ সব তো আসবে, যাবে। কিন্তু ফোকাসটা এটার উপরই রাখতে হবে অন্তত ১৫ বছর দেশের হয়ে খেলবই। ও বোধহয় এই ব্যাপারটা মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছে। আর চেষ্টাটাও শুরু করে দিয়েছে। দেখবেন, ভারত-পাক ম্যাচে ও-ই তফাত গড়ে দিতে পারে।

প্রশ্ন: একজন ভারতীয় বোলার তার সাফল্যের যাবতীয় কৃতিত্ব দিচ্ছে একজন পাকিস্তানিকে, এটা কেমন লাগে?

আক্রম: দারুণ। দারুণ লাগে। তবে আমি তরুণদের সব সময় সাহায্য করতে চাই। এই তো সে দিন লাসিথ মালিঙ্গা আমার সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছিল। শাপুর জাদরানও একদিন এসেছিল আমার কাছে টিপস নিতে। এই উপমহাদেশের বোলারদের সাহায্য করার জন্য আমি আছি।


প্রশ্ন: শুক্রবারের মহাযুদ্ধে বোলারদের জন্য আপনার পরামর্শ?

আক্রম: তেমন কিছুই বলার নেই ওদের। আমার মনে হয়, ওরা প্রত্যেকেই যখন দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, তখন ওরা ভাল ক্রিকেটার এবং জানে ওদের কী করা উচিত। শুধু এটুকুই বলব, বেসিকটা ঠিক রাখো। আমি নিশ্চিত, শুক্রবারই এই বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচ হতে চলেছে।

প্রশ্ন: পাকিস্তানের কোথায় খামতি রয়েছে?

আক্রম: অশ্বিন যখন রাউন্ড দ্য উইকেট বল করে, তখন মাঠের বাইরে বসেও স্পষ্ট বোঝা যায়, ও ক্যারম বল দিতে চাইছে। কিন্তু এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সেটা ঠিক মতো বুঝতে পারেনি। আফ্রিদি অবশ্য দু’বার ইনসাইড আউট শটে ওর বল সোজা বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছিল। অশ্বিনের বল সামলাতে এই পদ্ধতিই অনুসরণ করা উচিত পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। আমার মনে হয়, এশিয়া কাপে যে এগারো জনের দল নিয়ে নেমেছিল পাকিস্তান, সেই দল নিয়েই এ বারও নামা উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement