মনোজ ৪৮ বলে ৬২ রান।
দাপুটে জয় দিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফি অভিযান শুরু হল বাংলার। তাতে ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারির অবদান ৪৮ বলে ৬২-র অপরাজিত ইনিংস।
শ্রীবৎস গোস্বামী ও সায়নশেখর মন্ডলের সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের পর মনোজের ঝোড়ো ইনিংস বাংলাকে এ দিন গোয়ার বিরুদ্ধে ৫২ বল বাকি থাকতেই জয় এনে দিল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে গোয়া ২৩৫ তুলেছিল নয় উইকেট হারিয়ে। তিন উইকেট নেন অশোক দিন্দা। জোড়া উইকেট পান সায়ন ঘোষ। দুই পেসার, দুই স্পিনার ও দুই অলরাউন্ডারে নামা বাংলা পরে ব্যাট করতে নেমে যখন ২৭.১ ওভারে ১৩৩-২, তখন ক্রিজে আসেন মনোজ।
ইনিংসের শুরু থেকেই ঝড় বইয়ে দেন বাংলার অধিনায়ক। ৫০ ওভারে ২৩৬-এর টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ঠিকঠাকই এগোচ্ছিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী (৭০) ও সায়নশেখর মন্ডল (৫৪)। সুদীপও সেই গতি রেখে রান করে আউট হওয়ার পরও যে স্কোরবোর্ডের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল, তা কিন্তু নয়। তবুও কেন শুরু থেকেই টপ গিয়ারে মনোজ? রাতে রাজকোট থেকে ফোনে ক্যাপ্টেন বললেন, ‘‘আগে থেকেই এ রকম আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। এটা আমার নিজস্ব প্ল্যান। ওয়ান ডে ক্রিকেটে এ বার এ ভাবেই ব্যাট করব বলে ভেবে রেখেছি। তার প্রস্তুতিও নিয়েই নেমেছিলাম। সেটা ঠিকঠাক করতে পেরে ভালই লাগছে।’’
এ দিন মনোজের স্ট্রাইক রেট ছিল ১২৯। আটটা চার ও দু’টি ছয় মারেন তিনি। মূলত তাঁর এই ইনিংসই বাংলাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাঁকে সঙ্গ দেন সুদীপ (২২), ঋদ্ধিমান সাহা (১৪) ও লক্ষ্মীরতন শুক্ল (অপরাজিত ১০)।
জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করায় যতটা না খুশি মনোজ, তার চেয়েও বেশি স্বস্তিতে তিনি। বললেন, ‘‘একটা চিন্তা তো ছিলই যে চার দিনের ক্রিকেট থেকে এক দিনের ক্রিকেটে আমরা ঠিক ঠাক ‘সুইচ ওভার’ করতে পারব কি না। অন্য পরিবেশে সাদা বলের খেলার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব কি না। ছেলেরা সেটা পেরেছে দেখে ভাল লাগছে। শুরুতেই জয়টা খুব দরকার ছিল। যাদের যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সবাই পালন করেছে। ফিল্ডিং খুব ভাল হয়েছে। এলআর ভাই দারুণ একটা রান আউট করেছে। সব কিছুই আজ পজিটিভ হয়েছে।’’
বিশ্রাম নেই। শুক্রবারই আবার পরের ম্যাচ হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচের গেম প্ল্যান ও বিপক্ষ সম্পর্কে হোমওয়ার্কও তৈরি বলে জানাচ্ছেন অধিনায়ক। ‘‘এখন শুধু ঝাঁপিয়ে পড়া বাকি’’, বলছেন আত্মবিশ্বাসী দলনেতা।