চিন্তায় কোচ-ক্যাপ্টেন।
মনোজ তিওয়ারিকে দেখলে খারাপ লাগবে। দু’টো দিন ধরে ক্রমাগত টিম নিয়ে মাঠে আসছেন, কিছুক্ষণ খেলছেন, তার পর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকছেন বৃষ্টি থামার প্রত্যাশায়। শহরে পুজো-পুজো ব্যাপারটা ঢুকে পড়েছে ভাল রকম। শুক্রবার তৃতীয়া গেল, অথচ বঙ্গ অধিনায়কের মুখচোখ দেখলে মনে হবে না শারদোৎসব আসন্ন বলে।
‘‘কী করব বলুন? বৃষ্টির উপর কারই বা হাত থাকে?’’ হতাশবিদ্ধ গলায় ইডেন চত্বরে দাঁড়িয়ে বলছিলেন মনোজ। এমন আশাহত হয়ে পড়া আশ্চর্যের নয়, কারণ রাজস্থানের বিরুদ্ধে রঞ্জি-যুদ্ধের প্রথম দিন দফারফার পার্ট ওয়ান দেখলে, এ দিন পার্ট টু দেখল। যেখানে গোটা দিনে খেলা হল সাকুল্যে চৌষট্টি মিনিট। দু’দিন ধরলে আড়াইশো মিনিট। নেপথ্যে— দু’দিনে মোট পঁচাত্তর মিনিটের বৃষ্টি। রাজস্থানের প্রথম ইনিংসে পাঁচটা গেল সব মিলিয়ে। কিন্তু বাকি পাঁচটাও ফেলতে হবে। তার পর ব্যাট করে সেই রান টপকে পাওয়া যাবে প্রথম ইনিংস লিড এবং তিন পয়েন্ট। সমস্যা হল, ম্যাচটা তো আর রাজস্থানের সঙ্গে চলবে না। চলবে বৃষ্টির সঙ্গে।
যে বৃষ্টির প্রথম দফা এ দিন এল বেলা পৌনে এগারোটায়। দিনের খেলা শুরুর সাড়ে চার ওভারের মধ্যে। আধ ঘণ্টার সেই বৃষ্টি সামলে ম্যাচ দুপুর দেড়টা নাগাদ শুরু করা হল ঠিকই, কিন্তু পঞ্চাশ মিনিট যেতে না যেতে আবার। এবং ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে আবার বেহাল আউটফিল্ড। সুপার সপারে নতুন ফোম লাগিয়ে, বাড়তি কভার এনে পুরো মাঠ ঢেকেও ম্যাচ আর শুরু করা গেল না। যার নিটফল— বিকেল চারটে নাগাদ আম্পায়ারদের ঘোষণা, দিনের মতো খেলা শেষ।
এই মূহূর্তে রাজস্থান ১৪০-৫। শনি ও রবিবার গোটা দিন খেলা হলে বাংলার তিন পয়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু নির্দয় বৃষ্টি যদি এ ভাবেই ভুগিয়ে চলে, তা হলে কী হবে কে জানে। দুঃখের হল, রাজস্থান ম্যাচকে বাংলা টার্গেট করেছিল ছ’পয়েন্টের ম্যাচ হিসেবে। কিন্তু পাকেচক্রে পরিস্থিতি যা, তাতে সেই আশা ছাড়তে হচ্ছে। বৃষ্টিতে পাঁচটা সেশন চলে গেলে আর কী করা যাবে?
মনোজ তিওয়ারিরও মনে হচ্ছে তিনই যথেষ্ট। বলেও দিলেন, ‘‘খেলা হলে ওটাই আমাদের লক্ষ্য এখন।’’