পাকিস্তানকে কিন্তু ফেভারিট বলছি না

মেগা ক্ল্যাশের জন্য কলকাতা তৈরি। যাবতীয় ঐতিহ্য, যাবতীয় গরিমা নিয়ে ইডেনও তৈরি— ভারত-পাকিস্তানকে অভ্যর্থনা জানাতে, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একটা গ্র্যান্ড ডুয়েল দেখতে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, দুনিয়া জুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের শেষ স্টেশন যেন ইডেনেই হতে চলেছে। ক্রিকেট নিয়ে পাগলামি, মাতামাতি প্রতি মিনিটে বাড়ছে।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৬ ০৩:৪১
Share:

মেগা ক্ল্যাশের জন্য কলকাতা তৈরি। যাবতীয় ঐতিহ্য, যাবতীয় গরিমা নিয়ে ইডেনও তৈরি— ভারত-পাকিস্তানকে অভ্যর্থনা জানাতে, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একটা গ্র্যান্ড ডুয়েল দেখতে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, দুনিয়া জুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের শেষ স্টেশন যেন ইডেনেই হতে চলেছে। ক্রিকেট নিয়ে পাগলামি, মাতামাতি প্রতি মিনিটে বাড়ছে। ক্রিকেটার হিসেবে অনেক ভারত-পাক ম্যাচে খেলেছি। তাই এটা বলতে পারি যে ভারত-পাক ম্যাচ আয়োজনের অভিজ্ঞতাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনের অবস্থা বুঝতে পারছি। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর ওরা বেশ টেনসড হয়ে আছে। কিন্তু ওদের মনে রাখতে হবে এই ধরনের টুর্নামেন্টে ওঠা-পড়া থাকবেই। আর শেষ গোটা দশেক টি- টোয়েন্টিতে এই প্রথম ভারত আটকে গেল। তবে ইডেনের উইকেট কিন্তু ভারতীয়দের খুব পছন্দ হবে। বল ভালই ব্যাটে আসবে। ভারতীয় টিমে বেশ কয়েক জন ব্যাটসম্যান আছে যারা এই ব্যাপারটা পছন্দ করে। পেসাররা বাউন্স পাবে, ফায়দাও তুলতে পারবে উইকেট থেকে। তবে স্পিনারদের কিন্তু সত্যিই খুব ভাল বল করতে হবে এই উইকেটে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে। আউটফিল্ডও দুর্দান্ত ফাস্ট। ফিল্ডারদের পাশ দিয়ে বল একবার গলিয়ে দিতে পারলেই হল। এটা এমন উইকেট যে পুরো চল্লিশ ওভারই একই রকম থাকবে। তাই টসটা এখানে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে না।

পাকিস্তান অবশ্য বাংলাদেশকে হারিয়ে বেশ তেতে আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে পাকিস্তান শনিবার ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে। এটা একটা নতুন দিন এবং একটা দুর্দান্ত শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন কিন্তু পাকিস্তানের দিকে ধেয়ে আসবে। পাকিস্তানের বোলিংয়ে হয়তো ঝাঁঝ একটু বেশি, কিন্তু ম্যাচে প্রভাব ফেলতে গেলে ওদের ব্যাটসম্যানদের ভাল কিছু করতে হবে। মনে হচ্ছে, এই ম্যাচের রাশ থাকবে ব্যাটসম্যান হাতেই।

Advertisement

দু’দলে খুব একটা রদ বদল দেখছি না। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে দলটা খেলেছিল, ভারত সেটাই খেলাবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও পাকিস্তানের কম্বিনেশনটা খেটে গিয়েছে।

সব শেষে বলব, লড়াইটা হবে ক্রিকেটারদের নার্ভের। এই অবিশ্বাস্য আবহ ক্রিকেটারদের তাতিয়ে দেবে। যে টিম নার্ভ ধরে রাখতে পারবে, তারাই কিন্তু বাজিটা মেরে বেরিয়ে যাবে। ইডেনে পাকিস্তানের রেকর্ড নিয়ে খুব কথা হচ্ছে। ওরা এখানে ভারতের কাছে কোনও সীমিত ওভারের ম্যাচে হারেনি। কিন্তু আরও একটা রেকর্ডের কথা আমি মনে করিয়ে দিতে চাই। বিশ্বকাপের কোনও ফর্ম্যাটেই কিন্তু ভারত পাকিস্তানের কাছে কখনও হারেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement