ভোট দিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে অক্ষয়। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্ব শৌচাগার দিবসের পরের দিনই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। জীবনে দ্বিতীয় বার ভোট দিতে গেলেন অক্ষয় কুমার। আর ঠিক সেই সময়ই জানা গেল তাঁর টাকায় নির্মিত একটি সাধারণ শৌচাগারের বেহাল দশা— এ যেন ত্র্যহস্পর্শ। এই বিরল যোগে খানিক অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন খিলাড়ি কুমার।
২০২৩ সাল পর্যন্ত কানাডার নাগরিকত্ব থাকায় নিজের দেশে ভোট দিতে পারতেন না অক্ষয় কুমার। সরকার ঘনিষ্ঠতার কারণে সেই সময় বিদ্রুপ করে অনেকেই তাঁকে ‘কানাডা কুমার’ বলে ডাকতেন। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই তিনি ভারতীয় নাগরিক হন, সেই প্রথম এ দেশে ভোট দেন অভিনেতা। এ বার মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের জন্য ভোট দিচ্ছেন অক্ষয়। সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন ভোটকেন্দ্রে। কিন্তু সেখানেও পিছু ছাড়ল না ছবি।
‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অক্ষয়। ‘রম-কম’ এর মোড়কে শৌচগারের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই ছবিটি। এ বার সেই শৌচাগার নিয়ে বিক্ষোভের মুখে অক্ষয়। ঘটনাচক্রে ১৯ নভেম্বর ছিল বিশ্ব শৌচাগার দিবস।
২০১৭ সালে অক্ষয়ের ছবিতে ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’য় দেখানো হয়, শ্বশুরবাড়িতে শৌচাগার না থাকায় বৌ বাপের বাড়ি ফিরে যায়। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে নতুন শৌচাগার তৈরি করান অক্ষয়। মোটের উপর ভালই ব্যবসা করেছিল অক্ষয়-ভূমি অভিনীত এই ছবি। সমালোচকের প্রশংসাও পেয়েছিল অভিনয়। তার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। বুধবার সকাল সকাল কালো শার্ট ও চেক প্যান্ট পরে ভোট দিতে গিয়ে বিপত্তির মুখে পড়েন অক্ষয়। অভিনেতা ভোট দিয়ে যখন বেরিয়ে আসছিলেন তখনই এক বৃদ্ধ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যান। বৃদ্ধের অভিযোগ, অক্ষয় সর্বসাধারণের একটি শৌচালয় তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই শৌচলয়ের অবস্থা বেশ খারাপ। বৃদ্ধ তিন-চার বছর ধরে তার দেখাশোনা করছেন এবং তিনি চান অক্ষয় তাঁকে এ বিষয়ে সাহায্য করুন। শৌচালয়ের একটি বাক্স আছে, যার লোহার বলে বার বার মরচে ধরে যায়। অক্ষয়ের কাছে একটি বাক্স চান বৃদ্ধ। অভিনেতাও বৃদ্ধকে আশ্বস্ত করে জানান, তিনি নিজে বিএমসি (বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ, ওই শৌচাগার দেখভালের দায়িত্ব এখন তাঁদের।