আটত্রিশ রানে মহারাষ্ট্রের চার উইকেট পড়তে সকাল সকাল তিন পয়েন্টের স্বস্তির রোদ ঢুকে পড়েছিল বাংলা শিবিরে। কিন্তু বিকেলে অসম, বিদর্ভের জয়ের খবরে ফের অস্বস্তির আলো-ছায়া মনোজ তিওয়ারিদের ড্রেসিংরুমে।
লিগ টেবলে বাংলা ছ’ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট পেয়ে পাঁচ নম্বরে। দিল্লি (২৪), বিদর্ভ (২২), অসম (২২) এবং কর্নাটকের (২১) পরে। যা পরিস্থিতি, তাতে কল্যাণীতে পরের ম্যাচই প্রধান ভরসা। অসম নিজেদের মাঠে দিল্লিকে যে রকম পিচে ফেলে পাঁচ উইকেটে হারাল, তেমন উইকেটে বাংলা কী করবে, বলা মুশকিল। তাই সোমবার থেকে কল্যাণীতে ওড়িশার বিরুদ্ধে ছয় তো বটেই, পারলে সাত পয়েন্ট পাওয়া লক্ষ্য বাংলার।
বুধবার মহারাষ্ট্রকে ৪০৬-এ শেষ করে তিন পয়েন্ট তোলার পর সন্ধেয় বাংলা অধিনায়ক মনোজ বলছিলেন, ‘‘বাকি দু’ম্যাচের মধ্যে হোম ম্যাচটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে নকআউট রাস্তা পরিষ্কার করতে হবে। অসমে কী উইকেটে পাব জানি না। ওড়িশা ম্যাচ বোনাস পয়েন্টে জিতলে ভাল।’’
সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আরও আশাবাদী। ‘‘উপরের দিকের টিমগুলোর দু-এক পয়েন্টের ফারাক। একটা সরাসরি জয় পেলেই হয়তো নকআউটে ওঠা যাবে। আশা করি সেটা হবে।’’ কল্যাণীতে তিনি যেতে পারেন বলে শোনা গেল। দলের পারফরম্যান্সে খুশি সৌরভ। ‘‘শেষ কবে পাঁচশোর উপর রান করেছি আমরা, মনে পড়ছে না। বোলিংও ভাল হয়েছে। প্রয়োজনে সবাই ভাল খেলছে। এটা ধরে রাখলে নকআউটে ওঠা কঠিন হবে না।’’
মঙ্গলবার ২৯৬-৩ স্কোরে শেষ করা মহারাষ্ট্রকে এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণ করা শুরু করে বাংলা। মনোজ বলছিলেন, ‘‘এটা মঙ্গলবার রাতের টিম মিটিংয়ের ফল। বোলিংয়ে যে ভুল হচ্ছিল, মিটিংয়ে সেগুলোই শুধরে নেওয়া হয়।’’ ৩৮ রানের মধ্যে চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেয় বাংলা। দুই তরুণ পেসার কাজটা শুরু করেন। দুই সেঞ্চুরিয়ন রাহুল ত্রিপাঠি (১৩২) ও অঙ্কিত বাওনের (৬৫) স্টাম্প ছিটকে দেন যথাক্রমে মুকেশ কুমার (২-৪১) ও বীরপ্রতাপ সিংহ (১-৫৯)। বাকিদের দায়িত্ব নেন আমির গনি (২-৯৮) এবং প্রজ্ঞান ওঝা (৩-৭১)। অশোক দিন্দা ২-৮৩। বাংলার অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কথাও ভোলার নয়। যার প্রধান কাণ্ডারী সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সৌরভ বলছেন, ‘‘ছেলেটার মধ্যে স্পেশ্যাল ব্যাপার আছে। এখনই ইন্ডিয়া ‘এ’ খেলতে পারে।’’