ডে’ভিলিয়ার্স। দুরন্ত ১১৬।
মিচেল জনসনকে নির্বিষ করে দিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে পাল্টা মার দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেন্ট জর্জ পার্কের উইকেটে যেখানে ২৫ ওভার বল করে এক উইকেটের বেশি পেলেন না জনসন, সেখানে ওয়েন পার্নেল (২-১৯), ভার্নন ফিল্যান্ডারদের (২-২৬) ইনিংসের শুরু থেকেই ঝড় তুলতে দেখে আফসোস হতে পারে মাইকেল ক্লার্কের। কিন্তু অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে না ম্যাচের শেষেও আফসোস করতে হয়। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২৩ তোলার পর অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্টের শুরুতেই হোঁচট খেল ৮১ রানে চার উইকেট হারিয়ে। ফিরে গিয়েছেন ক্লার্কও (১৯)। নাথান লিয়ঁর (১২) সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নার (৬৫) লড়ছেন এক বার জীবন পেয়ে। দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া ১১২-৪।
শেষ টেস্টে এক ডজন শিকার করে ব্যাটসম্যানদের ত্রাস হয়ে ওঠা জনসন এখানে প্রথম দিন শুরুটা ভাল করলেও দ্বিতীয় দিন হল উল্টোটা। নতুন বল নিয়েও একই ওভারে তিন-তিনটে বাউন্ডারি দিতে হল তাঁকে। আসলে জনসনকে সব সময় শাসনে রাখার পরিকল্পনাটা শুরু থেকেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। তাঁকে মাথায় চড়ে বসতে দিলেই যে সর্বনাশ, তা প্রথম টেস্টেই বুঝে নিয়েছেন গ্রেম স্মিথরা। তাই পোর্ট এলিজাবেথে তাঁর জন্য এই পরিকল্পনা। ধীরগতির উইকেটও মিচ-কে তেমন অভ্যর্থনা জানায়নি।
বরং যিনি এই উইকেটে বল করে তৃপ্তি পেলেন, তিনি অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার নাথান লিয়ঁ (৫-১৩০)। স্মিথের দলের চার টপ স্কোরার জাঁ পল দুমিনি (১২৩), এবি ডে’ভিলিয়ার্স (১১৬), ডিন এলগার (৮৩) ও ফাফ দু’প্লেসিকে (৫৫) তো ফেরালেনই, উপরন্তু আরও একটি শিকার। ৪৪ বছর পর কোনও অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার এক ইনিংসে চারের বেশি উইকেট নিলেন।
জোড়া সেঞ্চুরিতেই পাহাড়প্রমাণ রান দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষ বারোটা টেস্টে যাঁর পঞ্চাশের নীচে রান নেই, সেই ডে’ভিলিয়ার্স এবং টেস্ট দলে যাঁর জায়গা বেশ নড়বড়ে ছিল, সেই দুমিনির ১৪৯ রানের পার্টনারশিপই দক্ষিণ আফ্রিকানদের এই জায়গায় নিয়ে গেল। সকালে জনসনকে চাপে রাখার দায়িত্ব নেন দুমিনিই। নতুন বলের পালিশ কাজে লাগানোয় ব্যর্থ অস্ট্রেলীয় বোলারদের উপর কার্যত চেপে বসেন দুই ব্যাটসম্যান। লিয়ঁকে সামলানোর সেরা রাস্তা হিসেবে দু’জনেই বেছে নেন সুইপ শটকে।