ইউনাইটেড ছেড়ে শিলংয়ে গিয়ে খুশি তিনি। অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য ফেরায় মানসিক ভাবে চাঙ্গা হয়ে গোলও করছেন নিয়মিত। আই লিগের লাস্ট বয় থেকে দলকে একের পর এক ম্যাচ জিতিয়ে অবনমন থেকে নিয়ে যাচ্ছেন লিগ টেবিলের ভাল জায়গায়।
তবুও রাংদাজিদের তারকা স্ট্রাইকার র্যান্টি মার্টিন্সের ইচ্ছা পরের বছর ফের কলকাতাতেই খেলার। শুক্রবার সকালে তিনি বলে দিলেন, “ভাল কোনও প্রস্তাব পেলে অবশ্যই আমি কলকাতায় ফিরতে চাই। ফুটবল নিয়ে এ রকম মাতামাতি কোথাও নেই। ভাল খেলার এটাই আমার অন্যতম মোটিভেশন।” কলকাতা ছাড়ার পর প্রথম খেলতে এসেছেন শহরে। তা-ও আবার ‘গুরু’ আর্মান্দো কোলাসোর টিমের বিরুদ্ধে। কোনও ক্লাবের থেকে প্রস্তাব আছে কি না তা অবশ্য বলতে চাননি তিনি। র্যান্টি বলে দিলেন, “আপাতত রাংদাজিদ নিয়ে ভাবতে চাই। মরসুম শেষে সিদ্ধান্ত নেব।”
পাশাপাশি র্যান্টি এ-ও জানিয়ে দিচ্ছেন সঠিক সময়ে ইউনাইটেড ছেড়েছেন। “আমি পেশাদার ফুটবলার। আর্থিক সমস্যার কথা ভাবতে গিয়ে খেলায় মন দিতে পারছিলাম না।” ইউনাইটেড জার্সিতে গোল-খরা চললেও, নতুন ক্লাবের হয়ে গত তিন ম্যাচে তিন গোল করেছেন নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার। যে মাঠে সকালে অনুশীলন করলেন সেই ইস্টবেঙ্গলকেই অবশ্য ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে আগাম সতর্কবার্তা পাঠাতে র্যান্টির হুঙ্কার, “সবাই দেখতেই পাচ্ছে যে আমি আবার আগের মতো নিয়মিত গোল করছি। আমাকে আলাদা করে কিছু বলতে হবে না। বেঙ্গালুরু, মোহনবাগানের মতো দলকে হারিয়েছি। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগেও ছন্দে আছি আমরা।” শেষ বার লাল হলুদের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড জার্সিতে জিতেছিলেন র্যান্টি। আইএফএ শিল্ডের তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে সে বার জিতেছিল তাঁর দল। তবুও ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করছেন রাংদাজিদের স্ট্রাইকার। বললেন, “ওদের টিমটা ভাল।” রাংদাজিদ কোচ হেরিং শাংপ্লিয়াংও বলছেন, “র্যান্টিই আমার দলের সেরা অস্ত্র। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেও জেতার সুযোগ আছে আমাদের। র্যান্টিই নেতৃত্ব দেবে।”
উগার অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি রবিবার নেই। র্যান্টিকে কী ভাবে আটকানো হবে তা অবশ্য এ দিন অনুশীলনে বুঝতে দিতে চাননি লাল-হলুদ কোচ। ইস্টবেঙ্গলে অবশ্য চোট সমস্যা বেড়েই চলেছে। চোটের তালিকায় নতুন সংযোজন লেন ও বলজিৎ সাইনি। নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার চিডি এডেও এ দিন অনুশীলনের পর বলে দিলেন যে, চোট নিয়েই তিনিও খেলছেন। “আমার চোট পুরোপুরি সারেনি। কিন্তু এখন যদি আমি না খেলি তবে বিরাট ঝামেলা হবে। বিতর্ক তৈরি হবে। দলের প্রায় সবার চোট, তাই এই অবস্থায় খেলে যেতে হচ্ছে। কিছুটা জোর করেই।”