রিলেতে সোনা জিতে ভক্তদের সঙ্গে উসেইন বোল্টের সেলফি। ছবি: রয়টার্স
কমনওয়েলথ গেমসের সম্ভবত সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্তটা বিশ্বের দ্রুততম মানুষই আনলেন। তবে একা নয়। রিলেতে। ৩৭.৫৮ সেকেন্ডে গেমস রেকর্ড গড়ার আগে থেকেই অবশ্য হ্যাম্পডেন পার্ক মাতিয়ে দেন উসেইন বোল্ট। কখনও নিজে নেচে, কখনও দর্শকদের নাচিয়ে। অথচ গ্লাসগো গেমসে নামার আগেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জামাইকান মহাতারকা। অভিযোগ উঠেছিল তিনি গ্লাসগো গেমসকে ‘ছাইপাশ’ বলে বিদ্রুপ করেছেন। পরে অবশ্য বোল্ট যা অস্বীকার করেন। বরং সোনা জয়ের উৎসবে গ্লাসগোর দর্শকদেরও যে রকম মাতালেন তাতে বিতর্কের চিহ্নও উধাও।
“সমর্থকদের জন্য আর নিজের প্রথম কমনওয়েলথ গেমস সোনা জিতে খুব খুশি। যেটা সব সময়ই আমার লিস্টে ছিল,” বলেন বোল্ট। তবে চেয়েছিলেন ব্যক্তিগত কোনও ইভেন্টে নামতে। শেষ পর্যন্ত তা না পারায় কিছুটা হতাশ শোনাল কি জামাইকান মহাতারকার গলা? বোল্ট বলেছেন, “চোট পাওয়ায় ব্যক্তিগত ইভেন্টে নামার ইচ্ছেটা পূরণ হল না। তাই ঠিক করেছিলাম একশো মিটার রিলেতে নামব।”
গ্লাসগোর ট্র্যাকে বোল্ট নামার আগেই বৃষ্টি। বিদুৎ চমকের অপেক্ষাতে যেন সেজে উঠছিল প্রকৃতিও। তবে সমর্থকদের উত্তেজনা তাতে নেভেনি। উল্টে বোল্ট সমর্থকরা তো এই পরিবেশেই জ্বলে ওঠেন। যে ভাবে জ্বলে উঠেছিলেন লন্ডন অলিম্পিকে। হ্যাম্পডেন পার্কেও অন্যথা হল না। যে জন্য বোল্ট বলে দেন, “যে কোনও অন্য চ্যাম্পিয়নশিপের মতোই মনে হচ্ছে। তা ছাড়া সমর্থকরাই তো গেমসকে এই উচ্চতায় নিয়ে আসতে পারে। দর্শকরাই আসল।” সোনা জেতার পর সমর্থকদের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে মজা করে বোল্ট বলেন, “সেলফি নিয়ে একটা কথাই বলব, এতে ল্যাপ অফ অনারটা দীর্ঘ, আরও দীর্ঘ হয়ে ওঠে।”
বোল্টের মেজাজ দেখে তখন কে বলবে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। বিদুৎ চমকে সব ভাসিয়ে দিয়ে উল্টে রবিবার বোল্টের টুইট, ‘সমর্থকরাই গেমসকে মজাদার করে তোলেন। গ্লাসগোয় উত্তেজনার শেষ ছিল না। আবার দেখা হবে..।”