সুয়ারেজ। মাঠে ফেরার যুদ্ধ শুরু।
লুইস সুয়ারেজ কি আদৌ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামতে পারবেন? উরুগুয়ের সমর্থকদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এটাই। প্রথম ম্যাচে ১-৩ কোস্টারিকার কাছে অপ্রত্যাশিত হারের ধাক্কা সামলাতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইংরেজদের হারাতে না পারলে গ্রুপ পর্যায়ের বাধা পেরনোটাই সমস্যার হয়ে যাবে দিয়েগো ফোরলানদের। এই অবস্থায় সদ্য শেষ হওয়া মরসুমে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা সুয়ারেজই ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেন দলের।
গত মাসে চোট পাওয়ার পর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারও হয়েছিল লিভারপুলের স্ট্রাইকারের। বিশ্বকাপেই অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন ভেবে সমর্থকদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ব্রাজিলের বিমানে ওঠা আটকায়নি সুয়ারেজের। কিন্তু স্টিভন জেরারদের বিরুদ্ধে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কী দলের ভরসা হতে প্রথম থেকে মাঠে নামতে পারবেন তিনি? সুয়ারেজ নিজেও জানেন কাজটা সোজা নয়। তাই মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বলে দেন, “কোস্টারিকার কাছে হারের পর গত ক’য়েকদিন খুব খারাপ কেটেছে।” পরে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “যে ভাবে সবাই পাশে দাঁড়িয়েছে আমাদের তার জন্য ধন্যবাদ। শান্ত থাকুন। আমরা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেরাটাই উজাড় করে দেব।”
হুংকার ছাড়ায় পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ডও। রয় হজসনের টিমের অন্যতম অস্ত্র ড্যানিয়েল স্টারিজ আবার উরুগুয়ে ম্যাচ নিয়ে বলেছেন, “আমার পক্ষে যা করা সম্ভব ম্যাচটা জিততে করব। ওরাও যে রকম প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও।” তার পর আবার যোগ করেন, “আমি জোর দিয়েই বলছি কথাটা। সত্যিই আমি ম্যাচটা জেতার জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত। এরা মরণ-বাঁচন ম্যাচ। এটা বিশ্বকাপ। আমরা এখনই হেরে গিয়ে দেশে ফিরতে চাই না।”