জাকিয়া খুদাদাদি ও হোসেন রাসৌলি টুইটার
দু’ চোখে ছিল স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের দোরগোড়ায় পৌঁছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরে এলেন। ফিরে আসতে বাধ্য হলেন জাকিয়া খুদাদাদি।
আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে প্যারালিম্পিক্সে নেমে ইতিহাস তৈরি করা হল না এই তাইকন্ডো খেলোয়াড়ের। নিজের দেশে এখন যেখানে বেঁচে থাকার, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করতে হচ্ছে, সেখানে এতদিন ধরে পরম যত্নে লালন করা ‘টোকিয়ো’, ‘প্যারালিম্পিক্স’ শব্দগুলি জাকিয়ার কাছে দূর গ্রহের।
জাকিয়া ছাড়়াও ডিসকাসে হোসেন রাসৌলির প্যারালিম্পিক্সে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আফগান শেফ দ্য মিশন আরিয়ান সিদ্দিকি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কাবুল ছেড়ে বেরনো সম্ভব নয় আফগান দলের।’’
সিদ্দিকি আরও বলেন, ‘‘ওরা টোকিয়োতে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে খুব উত্তেজিত ছিল। যখনই পারত অনুশীলনে নেমে পড়ত। পার্কে, বাগানে যেখানে পারত অনুশীলন করত। দেশের প্রথম মহিলা প্যারা অলিম্পিয়ান হত জাকিয়া। ইতিহাস তৈরি হতে পারত। আর সেটা হলে দেশের মহিলা ক্রীড়াবিদদের কাছে আদর্শ হয়ে থাকত ও।’’
প্যারালিম্পিক্স নিয়ে জাকিয়া, হোসেনের স্বপ্ন কতটা গভীর ছিল, সেটা সিদ্দিকির কথাতেই পরিষ্কার। বলেন, ‘‘ওরা প্যারালিম্পিক্স নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিল। সুযোগ পেলেই অনুশীলনে নেমে পড়ত। পার্কে, বাগানে যেখানে পারত অনুশীলন করত। দেশের প্রথম মহিলা প্যারা অলিম্পিয়ান হত জাকিয়া। ইতিহাস তৈরি হতে পারত। আর সেটা হলে দেশের মহিলা ক্রীড়াবিদদের কাছে আদর্শ হয়ে থাকত ও।’’
দু’দশক আগের হাড় হিম করা পরিস্থিতির কথা ভেবে শিউরে উঠছেন সিদ্দিকি। বলেন, ‘‘আগে তালিবান শাসনে অলিম্পিক্স, প্যারালিম্পিক্সে নামার কথা কেউ ভাবতেই পারত না। বিশেষ করে মহিলারা। পরিস্থিতি বদলেছিল। কিন্তু আবার সেই অবস্থায় চলে গেল আমাদের দেশ। এটা দেখা খুব কষ্টের।’’
ইতিহাস তৈরির স্বপ্ন এখন মাথা থেকে উবে গিয়েছে। আরও একবার বদলাতে চলা আফগানিস্তানের ইতিহাসে নিজেদের টিকিয়ে রাখাই এখন জাকিয়ার কাছে কঠিনতম চ্যালেঞ্জ।