গ্রেফতার হয়েছিলেন যুবরাজ। ফাইল চিত্র
বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল যুবরাজ সিংহকে। ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডারকে জাতি বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে অন্তর্বর্তিকালীন জামিনে ছাড়া পান যুবরাজ।
প্রায় এক বছর আগে নেটমাধ্যমে একটি নাচের ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন যুজবেন্দ্র চহাল। সেই নিয়ে রোহিত শর্মার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেন যুবরাজ। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি ওঠে নেটমাধ্যমে। যুবরাজ যদিও সেই সময় ক্ষমা চেয়েছিলেন।
টুইট করে ক্ষমা চেয়ে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অলরাউন্ডার বলেছিলেন, ‘আমি কখনও কোনও জাতি, বর্ণ, ধর্ম অথবা লিঙ্গের বৈষম্যে বিশ্বাস করিনি। সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি মানুষকে মর্যাদা দেওয়ায় বিশ্বাস করি। মানুষ একে অপরকে নিঃস্বার্থ ভাবে সম্মান করুক, এটাই চেয়ে এসেছি। বন্ধুদের কথা বলার সময় আমার একটি কথার অন্য অর্থ করা হয়েছে, যেটা অনভীপ্রেত। ভারতের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমি যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত করে থাকি, তার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি ভারতকে ভালবাসি আর ভারতবাসী সব সময় আমার অন্তরে থাকে।’
এই ঘটনায় এক বছর আগে হান্সী শহরে যুবরাজের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই যুবরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০০০ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক ঘটে যুবরাজের। টি২০ বিশ্বকাপ (২০০৭) এবং বিশ্বকাপ (২০১১) জয়ী দলের সদস্য ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দু’টি প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট, ৩০৪টি একদিনের এবং ৫৮টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন যুবরাজ। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১৭টি আন্তর্জাতিক শতরান। টেস্টে ১৯০০ রান করেছেন তিনি। একদিনের ক্রিকেটে করেছেন ৮৭০১ রান। টি২০ ক্রিকেটে ১১৭৭ রান করা যুবরাজ অবসর নেন ২০১৯ সালে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪৮টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।