আশাবাদী: স্পেনের লেগানেসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে রিয়ান। নিজস্ব চিত্র
ফুটবল খেলার নেশাটা তার এসেছে দাদুর কাছ থেকে। বছর তিরিশেক আগে ময়দানে প্রথম ডিভিশন, দ্বিতীয় ডিভিশনে চুটিয়ে ফুটবল খেলেছিলেন কৌশিক সেন। দাদুকে দেখেই ফুটবলে পা। আদর্শ লিয়োনেল মেসি। কিন্তু ১৪ বছরের রিয়ান সেন কাটোচ ভাবতেই পারেনি একেবারে সেই মেসির স্পেনে গিয়েই বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ মিলবে তার।
দেশ জুড়ে প্রায় ১০ হাজার স্কুল ছাত্রের মধ্যে থেকে সুযোগ মিলেছিল মাত্র তিন জনের। লা লিগা স্কুল ফুটবল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় মাসখানেক আগে যাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্পেনে। সেখানকার লেগানেস ক্লাবে ১১ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিল রিয়ান। কী রকম ছিল সেই অভিজ্ঞতা? মুম্বইয়ে বসবাসকারী রিয়ান ফোনে বলে, ‘‘একেবারে অন্য রকম। ওখানে আমাদের বল স্কিল, পাসিং, শুটিং, হেড— এ সব নিয়ে আলাদা করে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।’’
শুধু ট্রেনিং দেওয়াই নয়, লা লিগা থেকে একটি বিশেষ রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে রিয়ানকে নিয়ে। যেখানে বিশেষ বিশেষ বিভাগে পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৪ বিভাগে ট্রেনিং নেওয়া এই মিডফিল্ডারকে। দেখা যাচ্ছে, বল স্কিল, পাসিং, বল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পাঁচে চার পেয়েছে এই খুদে ফুটবলার। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ফিটনেসের উপর আরও জোর দেওয়ার। যদিও রিয়ান জানাচ্ছে, তাদের কোনও রুটিন বা ট্রেনিং চার্ট এখনও দেওয়া হয়নি।
লা লিগা ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জোসে আন্তোনিয়ো কাশাজা দিল্লি থেকে বলছিলেন, ‘‘লা লিগা ফুটবল স্কুলে ট্রেনিং করার সময় রিয়ানরা দুর্দান্ত টেকনিক্যাল দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল। যে কারণে ওদের বেছে নেওয়া হয়।’’ এ রকম প্রশিক্ষণ থেকে কতটা উপকৃত হবে ছেলেরা? কাশাজা বলছেন, ‘‘লেগানেসে থাকার সময় এই খুদে ফুটবলাররা সেরা স্প্যানিশ কোচ আর সেখানকার তরুণ ফুটবলারদের সান্নিধ্যে এসেছে। এতে ওদের যথেষ্ট উপকার হবে।’’
রিয়ান চায় সম্ভব হলে আবার স্পেনে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে। তার মা রোশনি সেন বলছিলেন, ‘‘ও সাব জুনিয়র আই লিগে খেলেছে। আমরা চাই ও ফুটবলকেই কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিক।’’ কাশাজা জানাচ্ছেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মকে সাহায্য করার জন্য লা লিগা সব সময় প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, ফুটবল দুনিয়ায় অন্যতম বড় শক্তি হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে ভারত। আশা রাখছি, সে ব্যাপারে আমাদের কর্মসূচি ভারতের তরুণ ফুটবলারদের
সাহায্য করবে।’’