একটি ঘটনা কাছে এনে দিয়েছিল দিলীপ কুমার এবং যশপাল শর্মাকে।
দিলীপ কুমার বদলে দিয়েছিলেন যশপাল শর্মার জীবন। তাঁর মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন যশপালও। ৭ জুলাই মারা যান বর্ষীয়ান অভিনেতা। ৯৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৩ জুলাই চলে গেলেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য যশপালও।
দিলীপ কুমারকে ‘ইউসুফ ভাই’ (দিলীপ কুমারের আসল নাম মহম্মদ ইউসুফ খান) বলে ডাকতেন যশপাল। তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা কাছে এনে দিয়েছিল দু’ জনকে। মৃত্যুর পর এক সাক্ষাৎকারে যশপাল বলেছিলেন, “তিনি আমার পিতৃসম। ওঁর জন্যই আমার ক্রিকেট জীবন পাল্টে গিয়েছিল।” খেলাপাগল দিলীপ ১৯৭৪-৭৫ সালে দেখতে গিয়েছিলেন পঞ্জাব বনাম উত্তরপ্রদেশের ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেটের সেই ম্যাচে দুই ইনিংসেই শতরান করেন যশপাল। তাঁর খেলা দেখে মুগ্ধ দিলীপ কাছে ডাকেন। অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন, “দারুণ খেললে, তোমার নাম আমি বলব একজনকে।”
পরের দিন সকালেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন বছর ২০-র যশপাল। খবরের কাগজে ছবি বেরিয়েছে তাঁর, সঙ্গে দিলীপ কুমার। পরে জানতে পারেন যশপালের ‘ইউসুফ ভাই’ তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন ক্রিকেট প্রশাসক রাজ সিংহ দুঙ্গারপুরের কাছে। ভারতের প্রাক্তন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বলেছিলেন, “ইউসুফ ভাই রাজ সিংহের কাছে আমার কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার যোগ্য।” কিছু বছরের মধ্যেই টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে যশপালের।
যশপাল সুযোগ পেয়েছিলেন কপিল দেবের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ দলেও। —ফাইল চিত্র
সুযোগ পেয়েছিলেন কপিল দেবের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ দলেও। প্রথম ম্যাচে তাঁর ব্যাটে ভর করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছিল ভারত। জীবনটাই পাল্টে যায় তাঁর। দিলীপের ছোঁয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তাঁর যশ।
পরবর্তী সময় দিলীপ কুমারের ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন যশপাল। তাঁর সব ছবি দেখতেন তিনি। দিলীপের ক্রান্তি ছবির শ্যুটিংয়েও গিয়েছিলেন যশপাল।