ধর্নার জায়গা যন্তর মন্তর থেকে রামলীলা ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেন কুস্তিগিররা। ছবি: টুইটার।
যন্তর মন্তরে ২৪ দিন ধর্নার পর প্রতিবাদের জায়গা পরিবর্তন করতে পারেন প্রতিবাদী কুস্তিগিররা। বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটরা তাঁদের আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেন দিল্লির রামলীলা ময়দানে। তাঁদের লক্ষ্য আন্দোলনকে জাতীয় রূপ দেওয়া।
ধর্নার স্থান পরিবর্তন নিয়ে সাক্ষী বলেছেন, ‘‘রামলীলা ময়দানে ধর্নায় বসার বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। খুব তাড়াতাড়ি আমরা এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাব।’’ যন্তর মন্তর থেকে তাঁরা সম্পূর্ণ সরে যাবেন কি না, তা নিয়ে কিছু জানাননি সাক্ষী। ধর্নার জায়গা রামলীলা ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ভীম আর্মি সভাপতি চন্দ্রশেখর আজাদ। কারণ, যন্তর মন্তরের থেকে রামলীলা ময়দানে জায়গা অনেক বেশি। ধর্না মঞ্চ সেখানে সরিয়ে নিয়ে গেলে আন্দোলনকে জাতীয় রূপ দেওয়া সহজ হবে। মঙ্গলবার রাতেও অনুগামীদের নিয়ে এ ব্যাপারে কুস্তিগিরদের সঙ্গে আলোচনা করেন চন্দ্রশেখর।
এর আগে পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষক সংগঠনগুলির এবং খাপ পঞ্চায়েতের নেতারা সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ২১ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। তার মধ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। তাই প্রয়োজনে ২১ মের পর ধর্নার জায়গা যন্তর মন্তর থেকে রামলীলা ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের দিয়েছেন চন্দ্রশেখর। তাঁর দাবি, যন্তর মন্তরে এ ভাবে বসে থাকলে কেন্দ্রের টনক নড়বে না। দাবি আদায়ের জন্য বৃহত্তর আন্দোলন দরকার।
কুস্তিগিরেরাও আন্দোলনকে বৃহত্তর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অলিম্পিক্স পদক জয়ী বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। যন্তর মন্তর থেকে কনট প্লেসের কাছে হনুমান মন্দির পর্যন্ত পদযাত্রাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বজরং, বিনেশরা।
কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারির দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন দেশের সেরা কুস্তিগিরদের একাংশ। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। কুস্তিগিরদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর চাপের মুখে কুস্তি সংস্থার সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ।