বজরং পুনিয়া এবং যোগেশ্বর দত্ত। —ফাইল চিত্র।
বজরং পুনিয়া অসত্য বলছেন, এমনটাই অভিযোগ যোগেশ্বর দত্তের। লন্ডন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী যোগেশ্বর রবিবার এ কথা জানিয়েছেন। দেশের তারকা কুস্তিগিরদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। কিছু দিন আগে সমাজমাধ্যমে বজরং জানিয়েছিলেন যে, যোগেশ্বর তাঁকে ম্যাচ হেরে যেতে বলেছিলেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে যোগেশ্বর বলেন, “বজরং অসত্য বলছে। আমি কখনও ওকে হেরে যেতে বলিনি। ২০১৬ সালের অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন পর্বে বজরং ৬৫ কেজি বিভাগে ছিল। কিন্তু আমরা সে বার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলিনি। অমিত ধনখড়ের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল বজরং। ফাইনালে আমি হারিয়েছিলাম অমিতকে।”
যোগেশ্বর এবং বজরং মুখোমুখি হয়েছিলেন কুস্তির প্রো লিগে। বিজেপি নেতা যোগেশ্বর বলেন, “প্রো লিগে আমি ৩-০ জিতেছিলাম। আরও বেশি পয়েন্ট পেতে পারতাম ওই ম্যাচে। সেটা যারা ওই ম্যাচ দেখেছে, তারা জানে। আমি বজরংকে আমার সঙ্গে সব বিদেশ সফরে নিয়ে যেতাম। কিন্তু ও আমার সঙ্গে প্রতারণা করে। জানি না ও কেন আমার দিকে আঙুল তুলছে, আমার ভাবমূর্তি খারাপ করছে।”
যোগেশ্বর জানিয়েছেন যে তিনি আর বজরংয়ের সঙ্গে কথা বলেন না। ২০১৮ সালে বজরং নাকি যোগেশ্বরকে বলেছিলেন যে, তাঁকে কমনওয়েলথ গেমসে যেতে দিতে। কিন্তু ২০১৬ সালে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী সেটা মানেননি। যোগেশ্বর ট্রায়ালে নামেন। তার পর থেকেই আর কথা বলেন না তাঁরা।
যোগেশ্বর এবং বজরংয়ের এই কথা কাটাকাটি শুরু হয় কুস্তিগিরদের প্রতিবাদ ঘিরে। যে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার জন্য অনুশীলন করতে পারেননি বজরংরা। সেই কারণে এশিয়ান গেমসের ট্রায়াল পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কুস্তি প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন বজরংরা। তাঁরা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌননিগ্রহের অভিযোগ করেছেন। দিল্লি পুলিশ এফআইআর-ও করেছে। এখন তাই পথে নেমে নয়, কোর্টে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন বজরংরা।