(বাঁ দিকে) বিনেশ ফোগাট এবং পিটি ঊষা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএ) প্রধান পিটি ঊষার বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিনেশ ফোগাট। তাঁর আইনজীবী হরিশ সালভেও একই সুরে লড়াইয়ের শুরুতে আইওএর আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুইস আদালতে আর আবেদন করবেন না বিনেশ।
প্যারিসে বিনেশের আইনি লড়াইয়ের সময় আইওএর নিয়োগ করা আইনি সংস্থার সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ সালভের। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বিনেশের আইনজীবী বলেছেন, ‘‘শুরুর দিকে সমন্বয় এবং সংহতির অভাব ছিল। ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশন যে আইনি সংস্থাকে নিযুক্ত করেছিল, তাদের দিক থেকে সমন্বয়ের অভাব ছিল। সেই সংস্থার আইনজীবীদের কয়েক জন আমাকে কোনও নথি দিতে রাজি হননি। পরে যখন প্রয়োজনীয় সব কিছু পাই, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।’’ উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে বিনেশ অভিযোগের সুরে বলেছিলেন, ঊষা প্যারিসে তাঁকে কোনও সাহায্য করেননি। আইওএ প্রধান শুধু ছবি তুলেছিলেন এবং রাজনীতি করেছিলেন। সালভের কথাতেও সেই অসহযোগিতার সুর উঠে এল।
সালভে আরও বলেছেন, ‘‘সব কিছু হাতে পাওয়ার পর আমরা লড়াই করেছিলাম। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র যুক্তির লড়াই হয়েছিল আদালতে। তবু আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের রায় আমাদের বিরুদ্ধে যায়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুইস আদালতে (আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের রায়কে সুইৎজ়ারল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায়) আবেদন করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু বিনেশ আর আইনি লড়াই করতে চান না।’’
প্যারিস অলিম্পিক্সে মহিলাদের কুস্তির ৫০ কেজি বিভাগের ফাইনালে উঠেছিলেন বিনেশ। ফাইনালের দিন সকালে অনুমোদিত মাত্রার থেকে শরীরের ওজন ১০০ গ্রাম বেশি হওয়ায় বিনেশকে প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল করা হয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে মামলা করেছিলেন বিনেশ। তাঁর দাবি ছিল, সব নিয়ম মেনে ফাইনালে উঠেছেন। প্রতিযোগিতার প্রথম দিন তাঁর শরীরের ওজন ঠিকই ছিল। তাই তাঁকে রুপোর পদক দেওয়া হোক। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির পাল্টা বক্তব্য ছিল, নিয়ম সকলের ক্ষেত্রে এক। প্রতিযোগিতার আগেই নিয়ম স্পষ্ট করে জানানো ছিল। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের রায় বিনেশের পক্ষে যায়নি।
বিনেশ কেন পদকের দাবি ছেড়ে দিচ্ছেন, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি সালভে। কুস্তিগির নিজেও কিছু বলেননি। সম্প্রতি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন বিনেশ। হরিয়ানার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিনেশকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।