বরণ: প্রতিযোগিতা শুরু হতে বাকি আর দু’দিন। রুশ প্রথা মেনেই অভ্যর্থনা নেমারদের। সোমবার সোচি-র টিম হোটেলে। ছবি: টুইটার
প্রতীক্ষার আর মাত্র ৭২ ঘণ্টা। তার আগে সোমবার কাকভোরে বিশ্বকাপ খেলতে রাশিয়া পৌঁছেই নাচতে শুরু করে দিলেন নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র।
শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে সোমবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে চারটে নাগাদ সোচিতে নেমে পড়েছিল ব্রাজিল। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলে আকর্ষণের মধ্যমণিই ছিলেন নেমার। ৯৮ দিন পরে মাঠে ফিরেই পর পর দুই প্রস্তুতি ম্যাচে দুই গোল। ছুঁয়ে ফেলেছেন পেলের দেশের আর এক কিংবদন্তি স্ট্রাইকার রোমারিয়োকে।
কিন্তু এই সব তথ্য, পরিসংখ্যান ছাপিয়ে তিতের দলের রাশিয়ায় পা দেওয়ার দিনে চমক নেমারের ব্যাকপ্যাক। একে তাঁর কাঁধে ষষ্ঠ বার বিশ্বকাপ জেতার জন্য গোটা ব্রাজিলের ভার। তার উপর আবার সোনার জল করা ব্যাগ। যেখানে শোভা পাচ্ছে তাঁর মা, বাবা, বোন ও পুত্র-সহ গোটা পরিবারের ছবি। ভারতীয় মুদ্রায় এই ব্যাগের মূল্য তেষট্টি হাজার টাকার কিছু বেশি।
প্রিয় দলকে স্বাগত জানাতে অত সকালেও জাতীয় পতাকা-সহ বিমানবন্দরে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিল সমর্থকরা। বিমান থেকে নেমেই সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘ভিকট্রি’ চিহ্ন দেখিয়ে টিম বাসের দিকে এগিয়ে যান নেমাররা। তার পরে টিম বাসে সোজা হোটেল। সেখানে পৌঁছেও ফের চমক। বাস থেকে নেমেই সতীর্থ মার্সেলোর সঙ্গে নাচতে নাচতে হোটেলে ঢুকলেন নেমার। যা দেখে মুখ আলো করা হাসি ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের সুন্দরী হোটেল কর্মীদের। এর পরেই হোটেলের লবিতে চলে আসে কেক। সেই কেক কেটেই যে যার ঘরে ঢুকে পড়েন বিশ্বকাপ অভিযানে বের হওয়া ব্রাজিলীয় ফুটবলাররা।
এ দিকে, রাশিয়ায় যখন খোশমেজাজে ব্রাজিলের আগমন, ঠিক সেই দিনেই লিয়োনেল মেসি জানিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপের ফলের উপরই নির্ভর করবে আর্জেন্তিনার হয়ে তাঁর ফুটবল ভবিষ্যৎ। মেসির কথায়, ‘‘এখনও জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে। বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার শেষটা কী রকম হবে, তার উপরেই নির্ভর করবে বাকিটা।’’