অনুশীলনে নেমার। ছবি: এএফপি।
কখনও হাসছেন। কখনও সতীর্থদের সঙ্গে খুনসুটিতে ব্যস্ত। কখনও বা সই বিলোচ্ছেন ব্রাজিলের অনুশীলন দেখতে আসা সমর্থকদের। তবে নিজস্বীর আবদারে তিনি সাড়া দিচ্ছেন না একদমই।
লক্ষ ব্রাজিলকে ষষ্ঠ বিশ্বকাপটি দিয়ে পেলে, রোমারিও, রোনাল্ডোদের মঞ্চে স্থান করে নেওয়া। রবিবার সুইৎজারল্যান্ডে বিরুদ্ধে সেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে এ রকমই খোশমেজাজে রয়েছেন নেমার দ্য সিলভা জুনিয়র স্যান্টোস।
বিশ্বকাপের আগে চোটের জন্য ৯৮ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিতের দলের এই প্রধান ভরসা। কিন্তু চোট-মুক্ত হয়ে ব্রাজিলের জাতীয় দলে ফিরেই দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচেই গোল করে সমর্থকদের আশঙ্কামুক্ত করেছিলেন নেমার। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে শনিবার ব্রাজিল কোচ তিতে তাঁর দলের প্রধান ফুটবলার সম্পর্কে যা বললেন তা শুনলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে সমর্থকদের। তিতে বলছেন, ‘‘নেমার এখনও একশো শতাংশ ম্যাচ ফিট নয়। তবে দ্রুত উন্নতি করছে ও। বিশেষ করে স্বল্প দূরত্বে বল ধরতে যে রকম গতিতে দৌড়াচ্ছে, তা আমাদের আশা বাড়াচ্ছে।’’
সুইসদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত আট বার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল। যে সাক্ষাতে তিতের দল এগিয়ে ৩-০। তবে শেষ সাক্ষাতে জিতেছিল সুইৎজারল্যান্ড। যে ম্যাচে খেলেছিলেন নেমারও। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাজিল কোচের সঙ্গে এসেছিলেন এই ম্যাচের অধিনায়ক মার্সেলো। তিনি ওই সব পরিসংখ্যানকে গুরুত্ব না দিয়ে বলে গেলেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে জেতা ছাড়া অন্য কোনও ভাবনাই নেই আমাদের। আমাদের কোচ তিতে গোটা দলটাকেই বদলে দিয়েছেন।’’
তবে নেমারকে নিয়ে তিতে যা-ই বলুন না কেন, সেই দলে পড়ছেন না রোনাল্ডো। বলছেন, ‘‘নেমার গোলের মধ্যেই রয়েছে। এটাই সবচেয়ে ভাল দিক এই ব্রাজিল দলের।’’