চোট-আঘাত না থাকাটাই ভরসা দিচ্ছে ফ্রান্সকে

শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে ফ্রান্স। এ রকম তরুণ দল নিয়ে বিশ্বকাপে নামাটা দেশঁর দলের পক্ষে ‘ঝুঁকি’ নেওয়া হয়ে যাচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০৫:৩১
Share:

মহড়া: রাশিয়া বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ধরা হচ্ছে তাদের। ফ্রান্স অভিযান শুরু করছে আজ, শনিবার। কাজানে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতেও পল পোগবাদের দেখা গেল মরিয়া। ছবি:গেটি ইমেজেস

উসমান দেম্বেলে ও কিলিয়ান এমবাপের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতা না থাকলেও ফ্রান্সের দুই তরুণ তারকার উপর ভরসা রাখছেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ।

Advertisement

শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে ফ্রান্স। এ রকম তরুণ দল নিয়ে বিশ্বকাপে নামাটা দেশঁর দলের পক্ষে ‘ঝুঁকি’ নেওয়া হয়ে যাচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠেছে। তবে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে দেশঁ বলেছেন, ‘‘এটা কোনও ঝুঁকির ব্যাপার নয়। দলে যে তরুণ ফুটবলাররা রয়েছে তাঁরা যোগ্য বলেই আমি বেছে নিয়েছি। ওরা বিশ্বকাপে এসেছে কারণ এই সুযোগটা ওদের প্রাপ্য।’’

ফ্রান্সের ২৩ জনের দলে ১৪ জন ফুটবলার এ রকম বড় আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথম খেলতে নামবেন। তবে অভিজ্ঞতার দিক থেকে এই তরুণ ফুটবলারদের পিছিয়ে রয়েছেন বলা যাবে না। যেমন কিলিয়ান এমবাপে। প্যারিস সাঁ জারমাঁর তারকা ইতিমধ্যেই তাঁর পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন বিশ্বজুড়ে। একই কথা বলা যায় বার্সেলোনার দেম্বেলের ক্ষেত্রেও।

Advertisement

পাশাপাশি দেশঁর দলে চোট-আঘাতের চিন্তাও রয়েছে। রাইট ব্যাক জিব্রিল সিদিবের হাঁটুর চোট নিয়ে আশঙ্কা আগেই ছিল। সপ্তাহখানেকের বেশি হয়ে গেল, তিনি মাঠে নামার মতো জায়গায় আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশঁ অবশ্য বলে দিচ্ছেন, ‘‘দলের ২৩ জন ফুটবলারই মাঠে নামার মতো জায়গায় রয়েছে। সিদিবে শেষ ম্যাচে চোট পেয়েছিল। ওর হাঁটুতে সমস্যা ছিল। মেডিক্যাল টিম ওর চোটের শুশ্রূষার দায়িত্বে ছিল। সিদিবেও মাঠে নামার মতো জায়গায় রয়েছে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করার জন্য আমি সেরা দলটাই বেছেছি। বিপক্ষকে যাতে চাপে ফেলে গোল করার সুযোগ তৈরি করা যায়।’’ চোট রয়েছে অলিভিয়ের জিহুরও। তাঁর মাথায় সেলাই রয়েছে। তবে মাঠে নামার মতো অবস্থায় তিনিও রয়েছেন। বলে দিলেন দেশঁ। পাশাপাশি দলের তারকা স্ট্রাইকার আঁতোয়া গ্রিজম্যানের বার্সেলোনায় না গিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদে থাকার সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেন ফ্রান্স কোচ। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তেই বোঝা যায় ওর আনুগত্য। দলের প্রতি ও কতটা দায়বদ্ধ।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘তবে আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, বিশ্বকাপে নামার আগে ও মনস্থির করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছে। এটা নিশ্চিত ভাবেই আমাদের জন্য ভাল ব্যাপার।’’ ঘরের মাঠে ২০১৬ ইউরোয় শেষ বাধা টপকাতে ব্যর্থ হয়েছিল ফ্রান্স। পর্তুগাল অতিরিক্ত সময়ে গোল করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বিশ্বকাপে ফাইনালে দেশঁর দল যেতে পারবে কি না সময় বলবে, আপাতত প্রথম ম্যাচ থেকেই হিসেব কষে নামছেন ফরাসি কোচ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement