পরীক্ষা: আর্জেন্টিনার সামনে এ বার পল পোগবার ফ্রান্স। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে একটি ম্যাচও গোলশূন্য ড্র হয়নি। গ্রুপ ‘সি’-তে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচে যা হল।
গ্রুপের শেষ লড়াইয়ে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ড্র করলেই শেষ ষোলোয় পৌঁছে যেত ফ্রান্স। ডেনমার্কেরও লক্ষ্য ছিল একই। সেটাই হল। গ্রুপ ‘সি’-র প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোলোয় প্রবেশ করল দিদিয়ে দেশঁ-র দল। ২০০২ সালের পরে আরও এক বার দ্বিতীয় রাউন্ড খেলার সুযোগ পেল ডেনমার্কও।
ফ্রান্স নেমেছিল ৪-২-৩-১ ছকে। এ দিন প্রথম থেকেই খেলার সুযোগ দেওয়া হয় জিহুকে। গ্রিজম্যানকে খেলানো হয় তাঁর পিছন থেকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে। ডান দিক থেকে খেলেন উসমান দেম্বেলে। বাঁ দিকের উইং দিয়ে খেলেন তোমা লোমা। কিন্তু ছক অনুযায়ী খেলতে দেখা যায়নি জিহুদের। ম্যাচের আগে দু’দলই জানত যে, ড্র করলেই শেষ ষোলোয় পৌঁছে যাবে তারা। তাই হয়তো শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে দুই দল। প্রথমার্ধের শেষে যা নিয়ে আলোচনা করেন ফুটবল বিশেষজ্ঞেরা। ফ্রান্স এক-দু’টো সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। অন্য দিকে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনদের খেলার মধ্যে সেই প্রচেষ্টাও খুব একটা চোখে পড়েনি বিশেষজ্ঞদের।
প্রথমার্ধেই গ্রিজম্যানের পাস থেকে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জিহু। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি প্রাক্তন আর্সেনাল স্ট্রাইকার। সুযোগ হাতছা়ড়া করেন উসমান দেম্বেলেও। বিশেষজ্ঞেরা ফ্রান্সকে বিশ্বকাপের দাবিদার হিসেবে দেখলেও লুঝনিকি স্টেডিয়ামের দর্শকেরা তাঁদের খেলায় বেশ হতাশ। ম্যাচের দশ মিনিট বাকি থাকতে একাধিক ব্যাক পাস খেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন লুঝনিকির দর্শক। ম্যাচ শেষে দু’দলের ফুটবলারদের প্রচুর বিদ্রুপ হজম করতে হয়। ফ্রান্সের খেলায় দর্শকের ক্ষোভের চেয়েও হয়তো ডেনমার্কের খেলা দেখে তাঁরা বেশি ক্ষুব্ধ।
মঙ্গলবার ম্যাচের শেষে ফ্রান্স কোচ দেশঁ জানিয়েছেন যে, ডেনমার্কের খেলার ধরনই আটকে দিয়েছে তাঁর দলকে। দেশঁ বলেছেন, ‘‘আমরা গ্রুপের শীর্ষে শেষ করতে চেয়েছিলাম। সেটা করতে পেরেছি। ডেনমার্কের খেলার ধরনের জন্য এই ম্যাচটা হয়তো সে রকম উত্তেজক হয়নি। ওরা জানত এই ম্যাচ ড্র করলেই শেষ ষোলোয় চলে যাবে। তাই শুরু থেকেই রক্ষণে ভিড় করে খেলছিল ডেনমার্ক।’’