বিজয়ী:আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে উচ্ছ্বাস গ্রিজম্যানের। ফাইল চিত্র
ক্লাবে সারাক্ষণ যাঁদের সঙ্গে সময় কাটে তাঁদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ভেবে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। এই ফরাসি স্ট্রাইকারের পেনাল্টি থেকে মারা গোলেই শনিবার আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ১-০ এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কোয়ার্টার ফাইনালে এ বার ফ্রান্সের লড়াই উরুগুয়ের সঙ্গে। লাতিন আমেরিকার এই দেশের বেশ কয়েক জন ফুটবলার গ্রিজম্যানের সঙ্গে খেলেন আতলেতিকো দে মাদ্রিদে। তাঁদের এক জন উরুগুয়ের অধিনায়ক দিয়েগো গোদিন। গোদিনের সঙ্গে রয়েছেন আতলেতিকোর আর এক ফুটবলার হোসে মারিয়া খিমেনেজও।
গ্রিজম্যান বলছেন, ‘‘দিয়েগো আমার দারুণ বন্ধু। বলতে গেলে প্রতিটি দিনই আমি ওর সঙ্গে কাটাই। ড্রেসিং রুমে কাটাই। কাটাই মাঠের বাইরেও। আর আমার ছোট্টো মেয়ের কাছে দিয়েগোই হচ্ছে সব। তাই ওর বিরুদ্ধে খেলতে হবে ভাবলেই আবেগ গ্রাস করছে। অবশ্য এই ম্যাচটাও আশা করি ভালই হবে।’’
দিয়েগো মারাদোনার মতে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার গোদিনকে নিয়ে গ্রিজম্যান আরও বলেছেন, ‘‘আতলেতিকোতে যোগ দেওয়ার আগে দিয়েগোর কাছেই প্রথম যাই। প্রথম কথাও বলেছিলাম ওর সঙ্গেই। আতলেতিকো ক্লাবটা কেমন ওর মুখে শুনেই সই করেছিলাম।’’ গ্রিজম্যানের মনে হচ্ছে। এত পরিচিত এক জনের সঙ্গে খেলাটা অনেক বেশি কঠিন। তাঁর কথায়, ‘‘দিয়েগো আমার সম্পর্কে সব কিছু জানে। ওর এবং হোসে মারিয়া সম্পর্কে আমারও অজানা কিছুই নেই। তাই ওদের বিরুদ্ধে খেলতে নামাটা অনেক বেশি কঠিন।’’
দল হিসাবেও আতলেতিকোর সঙ্গে গ্রিজম্যান কিন্তু উরুগুয়ের অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছেন। আর এদিনসন কাভানিকে নিয়ে তো তিনি উচ্ছ্বসিত। ‘‘উরুগুয়ে-পর্তুগাল ম্যাচ আপনাদের মতো আমিও দেখেছি। ৪-৪-২ ছকে উরুগুয়ে খেলে। আতলেতিকোতে আমরা যেটা খেলি। সামনে দু’জন সব সময় প্রতিআক্রমণের জন্য তৈরি থাকে। তা ছাড়া দলটার সবাই সবার জন্য খেলে। যা দারুণ লাগে দেখতে। আতলেতিকোয় আমরা যে ভাবে খেলি এবং যা আমার প্রচণ্ড পছন্দের রণনীতি। আর প্যারিস সাঁ জারমাঁতে যেমন হয় উরুগুয়েতেও দেখলাম কাভানি এই রক্ষণ সামলাচ্ছে তো পরের মুহূর্তে উপরে উঠে আক্রমণে চলে যাচ্ছে। সত্যি দারুণ ফুটবলার কাভানি। ছেলেটা এত পরিশ্রমী যে ভাল না বেসে পারা যায় না।’’ গ্রিজম্যানের মতে, তাঁদের বিরুদ্ধে চোটের জন্য কাভানি খেলতে না পারলে সেটা উরুগুয়ের কাছে একটা বড় ধাক্কা হবে। কারণ তাঁর ধারণা এই বিশ্বকাপের সেরা স্ট্রাইকার কাভানিই।
এমনিতে গ্রিজম্যানের সঙ্গে ফ্রান্স দলেও আতলেতিকোর ফুটবলার আছেন। রিকায় হার্নান্দেস যেমন। গ্রিজম্যানের দাবি, ক্লাবে একসঙ্গে খেলেন বলে দেশের হয়ে খেলার সময়ও এই বোঝাপড়াটা দারুণ কাজে আসছে। ‘‘রিকাস মাঝেমাঝেই আক্রমণে উঠে আসে। কিন্তু আমরা অনেক গোলে এগিয়ে গেলে সেটার আর দরকার হয় না। ও ওর মতো খেলে। আমি আমার মতো। কিন্তু আমাদের বোঝাপড়াটা অসম্ভব ভাল। মনে হয় এক ক্লাবে খেলি বলেই এটা হয়েছে,’’ বলেছেন গ্রিজম্যান।