অভিনন্দন: ফ্রান্সের এমবাপের সঙ্গে থিয়েরি অঁরি। ছবি: এএফপি
বেলজিয়ামকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠতেই বিজয়োৎসব করে গিয়ে লাগাম হারিয়ে ফেলল ফ্রান্সের জনতা। সব চেয়ে সাংঘাতিক ঘটনাটি ঘটল নিসে। সেখানে উন্মত্ত জনতার ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মারাত্মক জখম হলেন অন্তত পঁচিশ জন মানুষ।
খেলা শেষের বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে জনতার ভিড়ে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল আতসবাজি। তা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মানুষ পাগলের মতো দৌড়তে শুরু করেন। তখনই পায়ে চাপা পড়ার ঘটনা ঘটে। যা মনে করিয়ে দিয়েছে বছর দু’য়েক আগে উৎসবমুখী জনতার মধ্যে দিয়ে এক কট্টরপন্থীর ট্রাক চালিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে। সে বার ৮৬ জন মারা গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে অবশ্য কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বেশি ভাগ লোক গুরুতর আহত হন রাস্তায় পড়ে থাকা ভাঙা কাঁচের জন্য। নিস-এর প্রচার মাধ্যমে যে সব ছবি জনসমক্ষে বেরিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় ফেলে টেবল, চেয়ার, বেঞ্চ ভাঙা হয়েছে। সঙ্গে ধরে ধরে গাড়ির কাঁচ ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে।
উন্মত্ততায় কম যায়নি প্যারিসও। সেখানকার শঁ এলিসেতে ফ্রান্সের জয়ের আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠা জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে রাস্তার আসবাবই ছুঁড়ে মেরেছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করায় এটাই ছিল পাল্টা প্রতিরোধের ভাষা। রাস্তায় রাখা প্লাস্টিকের বেড়া থেকে ময়লা ফেলার জায়গা, এমনকি সোফাও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
একটি সূত্রের দাবি, উন্মত্ত জনতার একটা বড় অংশ ফ্রান্স জেতার আনন্দে অতিরিক্ত মদ্যপান করার জন্যই এমন অস্বাভাবিক আচরণ করেছে। রাস্তার ভিড় ভেঙে কোনও গাড়ি বা বাস বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার সামনে শুয়ে পড়েছে এক দল মানুষ। আর এক দল গাড়ির মাথায় উঠে জামা খুলে গান গেয়েছে। গাড়ির বনেট বাজিয়ে চলছে উৎসব। সব চেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল আখ দে থিঁয়ফ-এর সামনে। সেখানে সারা রাত মানুষ আতসবাজি ফাটিয়েছে।