লং জাম্পার মুরলী। ছবি রয়টার্স
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নজির গড়লেন মুরলী শ্রীশঙ্কর। প্রথম ভারতীয় পুরুষ লং জাম্পার হিসাবে ফাইনালে উঠলেন তিনি। অন্য দিকে, ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজে অবিনাশ সাবলেও ফাইনালে উঠেছেন। ভারতের বাকি ক্রীড়াবিদরা অবশ্য হতাশই করেছেন অ্যাথলেটিক্সের বিশ্বমঞ্চে।
ভারতের মুরলীকে অনেকেই পদকের দাবিদার বলে মনে করছেন। যোগ্যতা অর্জন পর্বে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আট মিটার লাফান তিনি। গ্রুপ বি-তে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন তিনি। সব মিলিয়ে সপ্তম স্থানে শেষ করেন। এর আগে লং জাম্পের ফাইনালে উঠেছিলেন অঞ্জু ববি জর্জ। ২০০৩-এ প্যারিসে লং জাম্পের ফাইনালেই শুধু ওঠেননি, অঞ্জু জিতে নেন ব্রোঞ্জ পদক। সেটাই এখনও পর্যন্ত ভারতের অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে একমাত্র পদক।
লং জাম্পে ভারতের আরও দুই ক্রীড়াবিদ জেসুইন অলড্রিন এবং মুহাম্মদ অনীশ ইয়াহিয়া হতাশ করেছেন। অলড্রিন ৭.৭৯ মিটার এবং ইয়াহিয়া ৭.৭৩ মিটার লাফান। ২৩ বছরের মুরলী এপ্রিলে ফেডারেশন কাপে ৮.৩৬ মিটার লাফিয়েছিলেন। তার পর গ্রিসের একটি ইভেন্ট এবং জাতীয় আন্তঃরাজ্য প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে ৮.৩১ মিটার এবং ৮.২৩ মিটার লাফিয়েছিলেন।
২৭ বছরের সাবলে এর আগে ২০১৯ দোহা বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সেও ফাইনালে উঠেছিলেন। সে বার পদক পাননি। এ বার তিনি তৃতীয় হিটে তৃতীয় স্থানে শেষ করেন। প্রথম দিকে অনেকক্ষণ শীর্ষে থাকলেও পরে তাঁকে পেরিয়ে যান অন্য দুই খেলোয়াড়।
শটপাটে আশা ছিল তেজিন্দরপাল সিংহ তুরকে নিয়ে। কিন্তু চার দিন আগে কুঁচকিতে চোট পাওয়ায় এ দিন তিনি নামতে পারেননি। ছিটকে গেলেন কমনওয়েলথ গেমস থেকেও। এ দিন অনুশীলনে নেমে শেষ চেষ্টা করেছিলেন। ব্যথায় কাবু হয়ে পড়ায় যোগ্যতা অর্জন পর্বে নামতে পারেননি।