প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে সেই ম্যাচ খেলিয়ে নজির গড়লেন ক্যাথরিন নেসবিট। ছবি - টুইটার
পুরুষদের প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়ছিল বারমুডা ও কানাডা। প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে সেই ম্যাচ খেলিয়ে নজির গড়লেন ক্যাথরিন নেসবিট। ফিলাডেলফিয়ার ৩২ বছরের এই মহিলা ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে বারমুডা বনাম কানাডা ম্যাচে সহকারী রেফারির দায়িত্বে ছিলেন। ক্যাথরিন নেসবিট হলেন প্রথম মহিলা, যিনি পুরুষদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলালেন।
তাঁর এই উত্তরণের পর আমেরিকা ফুটবল সংস্থার প্রধান রিক এডি বলেন, “ফিফা যে ভাবে মহিলা রেফারিদের সুযোগ দিচ্ছে সেটা এক কথায় অসাধারণ। আশা করি ভবিষ্যতে পুরুষদের বিশ্বকাপে অনেক মহিলা রেফারিকে দেখা যাবে।”
গত মরসুমে নেসবিট আমেরিকার লিগের (মেজর লিগ সকার) ১৮টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই প্রতিযোগিতার ফাইনাল-সহ একাধিক ম্যাচে সহকারী রেফারি হিসেবে সাইড লাইনের বাইরে পতাকা নিয়ে কাজ করেছেন ৬ ফুট লম্বা এই মহিলা। এছাড়া অতীতে ভিডিয়ো রেফারি হিসেবেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। ফলে ২০১৬ সালেই ফিফা ব্যাজ আদায় করেন। এরপর সেই বছর অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ, ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২০ মহিলা বিশ্বকাপ এবং ২০১৯ সালে মহিলা বিশ্বকাপে দুটো ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্যাথরিন নেসবিট। মেজর লিগ সকারের প্রধান রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব বলেছেন, “তিনি লম্বা, খুবই শান্ত ও বুদ্ধিমান। ফলে দ্রুত এবং নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিতে পারে।”
ক্যাথরিন নেসবিট তাঁর এই উন্নতি সম্পর্কে বললেন, “ফুটবলের প্রতি অনুরাগ সেই ছোটবেলা থেকে। ১৪ বছর বয়সে মাঠে যাতায়াত শুরু। এরপর সেটা ধীরে ধীরে জীবন ও জীবিকা হয়ে গেল। আমাকে সাহায্য করার জন্য ফিফা ও মেজর লিগ সকারের কর্তাদের অনেক ধন্যবাদ।” কিন্তু মহিলা হওয়ার জন্য মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে কি অশালীন মন্তব্য শুনতে হয়নি? তাঁর জবাব, “এমন খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি এখনও হইনি। সবার কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ভাল ব্যবহার পেয়েছি।”