চতুর্থ রাউন্ডে নাদাল। ছবি রয়টার্স
ম্যাচ ছিল দুপুরে। কিন্তু আগের খেলাগুলি শেষ না হওয়ায় তা পিছোতে পিছোতে সন্ধে হয়ে গেল। ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় প্রায় সাতটা নাগাদ উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে নামলেন। যখন ম্যাচ শেষ হল, তখনও লন্ডনের আকাশে রোদ্দুর রয়েছে। তৃতীয় রাউন্ডে জিততে দু’ঘণ্টাও সময় লাগল না স্প্যানিশ তারকার। ইটালির লোরেঞ্জো সোনেগোকে ৬-১, ৬-২, ৬-৪ উড়িয়ে উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ডে উঠে গেলেন নাদাল। এবার তাঁর সামনে নেদারল্যান্ডসের বোটিক ফান ডে জান্ডশুপ।
বলতে গেলে, তৃতীয় রাউন্ডে নাদালকে পরিশ্রমই করতে হয়নি। শনিবার রাতে নেমে তিনি যা-ই করছিলেন, তাই ঠিক হচ্ছিল। সার্ভিস, ব্যাকহ্যান্ড, ফোরহ্যান্ড, নেট পয়েন্ট, ড্রপ শট, রিটার্ন — কোনও কিছুই ভুল হয়নি। সোনেগো বুঝতেই পারছিলেন না কোন শটের কী উত্তর দেবেন। এমন দু’একটি আনফোর্সড এরর করলেন যা শিক্ষানবীশ টেনিসছাত্রকেও লজ্জিত করবে। আসলে নাদাল যে মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন, তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেননি সোনেগো। কার্যত একপেশে ম্যাচ খেলে চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন নাদাল।
চলতি সপ্তাহের সেরা পারফরম্যান্স পাওয়া গেল নাদালের। প্রথম দু’টি ম্যাচেই একটি করে সেট খোয়াতে হয়েছিল নাদালকে। তাঁর মধ্যে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা গিয়েছিল। অভিজ্ঞতা দিয়ে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত বের করে নিলেও, ছন্দে আসতে সময় লেগেছিল। এ দিন তার ছিঁটেফোটাও দেখা গেল না। ঘাসের কোর্টে এই প্রথম বার তাঁকে দেখে মনে হল, তৃতীয় উইম্বলডন ট্রফি জিততে এসেছেন। শনিবারের জয় নিঃসন্দেহে নাদালের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।
এ দিন মোট ১৪টি উইনার মেরেছেন নাদাল। কোর্টের দু’টি প্রান্ত থেকেই সমানতালে টেনিস খেলছিলেন। তৃতীয় সেটে নাদালের ব্যাকহ্যান্ডকে অনেক সপ্রতিভ লেগেছে। সোনেগো এতক্ষণ ওটাকেই নাদালের দুর্বলতা হিসাবে ভেবেছিলেন। কিন্তু ব্যাকহ্যান্ডে ছন্দ পেয়ে যাওয়ায় সোনেগোর বিপদ আরও বাড়ে। তৃতীয় সেট চলাকালীন সেন্টার কোর্টের ছাদ বন্ধ হওয়ার কারণে খেলা মিনিট দশেক বন্ধ ছিল। তবে তা নাদালের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। নাদাল তৃতীয় সেটে এগিয়ে যাওয়ার পর সোনেগো এক সময় ৪-৪ করে দিলেও, ইটালির খেলোয়াড়কে ব্রেক করে সেট এবং ম্যাচ পকেটে পুরে নেন নাদাল।