ট্রফি হাতে আইপিএলের সফলতম অধিনায়ক। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কেন এত সফল? তিনিই বা কেন আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে ঈর্ষণীয় সাফল্যের অধিকারী? মুম্বইয়ের অধিনায়ক হিসেবে ৫ বার আইপিএল ট্রফি জেতা রোহিত শর্মা তুলে ধরেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাফল্যের নেপথ্য কাহিনি।
মুম্বইকরের ব্যাখ্যা, “অনেকেই প্রশ্ন করেন, রোহিত কি অন্য দলকে নিয়ে এই সাফল্য পেত? প্রথমত, অন্য দলে আমি যাব কেন? এই ফ্র্যাঞ্চাইজি একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে কাজ করে। আর খেলোয়াড় ও নেতা হিসেবে সেই দিশায় আমি নিজেও যেতে চাই। হ্যাঁ, আমাদের কায়রন পোলার্ড, হার্দিক পাণ্ড্য, যশপ্রীত বুমরারা রয়েছে। কিন্তু আমরা কি রাতারাতি ভাল দলে পরিণত হয়েছি? আসলে আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘন ঘন দলে পরিবর্তনে বিশ্বাস করে না। আর আমি নিজে এবং প্রত্যেক ক্রিকেটার ২০১১ সালের নিলামে ছিল। ঘটনা হল, সেই ক্রিকেটারদের তুলে এনে একটা দলে পরিণত করেছে মুম্বই।”
বাঁ-হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট এ বারের আইপিএলে মুম্বইয়ের বড় অস্ত্র হয়ে দেখা দিয়েছেন। গত নিলামের আগে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফাইনালের পর নিশ্চয়ই আফসোস করছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল। রোহিত বলেছেন, “আমাদের এমন কাউকে দরকার ছিল যে শুরুতে উইকেট নিতে পারে এবং বল সুইং করাতে পারে। আমরা ওকে পেতে মরিয়া ছিলাম।”
আরও পড়ুন: চোট-বিতর্ক নিয়ে এ বার নিজেই মুখ খুললেন রোহিত
আরও পড়ুন: পিতৃশোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি যেন পায় সিরাজ, সমবেদনা সৌরভের
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজি যে ভাবে কোভিড অতিমারির সময়ে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছিল, তারও প্রশংসা করেছেন তিনি। হিটম্যানের মতে, ৮০ দিন ওই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার পরেও তা কারও কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠেনি। প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়েও নজর দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। জুনেই যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল, সেটাও বলেছেন।
অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদের স্বাধীনতা দেওয়ায় বিশ্বাসী তিনি। এ প্রসঙ্গে সূর্যকুমার যাদবের উদাহরণ টেনেছেন। রোহিত বলেছেন, “জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার পর ও এসে বলেছিল, চিন্তার কিছু নেই, আমি মুম্বইকে ম্যাচ জেতাব। ও যে শুধু আইপিএলের ক্ষেত্রে নয়, কেরিয়ারের কথা ভেবেই ঠিক পথে চলছে, তা উপলব্ধি করেছিলাম। ওর সময় ঠিকই আসবে। আমার দর্শন হল সামনে যে জিনিস রয়েছে, তাতে মন দাও। আর আমার ক্ষেত্রে এটাতেই কাজ হয়।”