লক্ষ্য: বার্সেলোনার প্রস্তুতিতে মগ্ন পিকে। একইসঙ্গে ভাইরাস নিয়ে সতর্কও। টুইটার
করোনাভাইরাসের আক্রমণে জর্জরিত দেশগুলোর মধ্যে খুব উপরের দিকেই থাকবে স্পেনের নাম। বেশ কয়েক মাস ধরে সে দেশের সব খেলাই স্তব্ধ হয়ে থাকার পরে চেষ্টা শুরু হয়েছে ফের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার। মধ্য জুনে লিগ চালু করার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদের মতো জনপ্রিয় ক্লাব অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে ফুটবলারদের প্রতিক্রিয়া কী? জানালেন জেরার পিকে। লা লিগা কর্তৃপক্ষ মারফত পাঠানো ই-মেলে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেন বার্সেলোনার তারকা ডিফেন্ডার। নির্বাচিত অংশ—
অভিনব ট্রেনিং নীতি: আমাদের পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে ট্রেনিংয়ের সময় কী করতে হবে আর কী করা যাবে না। যতটা সম্ভব সতর্ক হয়ে আমাদের ট্রেনিং করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যেটা খুবই স্বাভাবিক। আমরা সব নিয়ম মেনেই অনুশীলন করছি।
কতটা গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মানা: আমাদের মনে রাখতে হবে অনেকেই আছে যারা এই ভাইরাসের ভয়ে ভীষণ ভীত বা তা না হলেও খুবই উদ্বিগ্ন। যে কারণে আমাদের কী কী করা উচিত, তা নিয়ে সবার পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। ক্লাব আমাদের সব ভাল করেই বুঝিয়ে দিয়েছে। অনুশীলনের সময় এই সমস্ত নিয়ম সবাইকে কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। সবাই যদি সব কিছু মেনে চলে, তা হলে সমস্যা হবে না। মাথায় রাখতে হবে, সবার নিরাপত্তা এখন আমাদের হাতে।
আরও পড়ুন: ধোনি নিয়ে যুবির তোপ গুরু গ্রেগকে
সংক্রমণের মধ্যে খেলা: ফুটবল ঘিরে সবারই একটা আগ্রহ আছে। মরসুম শেষ করার ব্যাপারে লা লিগার এতটা উদ্যোগী হওয়ার কারণটাও বুঝতে সমস্যা থাকার কথা নয়। প্রচুর অর্থ জড়িয়ে আছে খেলাটার সঙ্গে। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির কথাও মাথায় রাখতে হবে। খেলা না হলে তাই আর্থিক ঝুঁকির একটা প্রশ্ন থেকেই যাবে। পাশাপাশি এটাও বলব, লা লিগা যা করছে, ভেবে চিন্তেই করছে।
ফাঁকা মাঠে খেলা: আমরা কেউই চাই না ফাঁকা মাঠে খেলতে। কোন খেলোয়াড় চায় এমন পরিস্থিতিতে খেলতে, যেখানে স্টেডিয়ামে কোনও দর্শক থাকবে না! কিন্তু কী আর করা যাবে। হয় ফাঁকা মাঠে খেলতে হবে না হলে লিগ অসমাপ্ত রেখে দিতে হবে।
সিদ্ধান্ত ঘিরে ফুটবলারদের প্রতিক্রিয়া: লা লিগার দিকটা আমরা বুঝতে পারছি। সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ওরা নিয়েছে। আমরা ফুটবলাররাও সব রকম ভাবে সতর্ক থাকার চেষ্টা করছি। সব নিয়ম মেনে চলছি। কিন্তু এটাও বলব, পরিবারের সঙ্গে না-থাকতে পারাটা কিন্তু মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। পরিবারের কাছেও ব্যাপারটা খুব কঠিন। দলের সঙ্গে থাকা মানে আমাদের পরিবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এই ব্যাপারটা যদি এড়ানো যায় বা যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য বাইরে থাকা যায়, তা হলে আমরা, ফুটবলারেরা খুশি হব।
দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা: অনেক দিন ফুটবল ছেড়ে আছি আমরা। এ বার মাঠে নামার আগে সম্ভবত একটা মাস ট্রেনিংয়ের সময় পাচ্ছি। অতীতে যেমন মরসুম শুরু হওয়ার আগে প্রীতি ম্যাচ খেলতাম, এ বার সে রকম কোনও সুযোগ নেই।
মাঠে ফেরা কতটা কঠিন: আমি চাইব, ম্যাচ খেলার আগে যেন সবাই ঠিক মতো তৈরি হতে পারি। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এত দিন বাদে খেলা শুরু হবে। তাই সবার আগে মাথায় রাখতে হবে খেলার সময় যেন আমাদের কারও চোট না লেগে যায়। সে জন্যই ভাল প্রস্তুতির গুরুত্ব এত বেশি। পাশাপাশি আমরা সবাইকে ভাল ফুটবলও উপহার দিতে চাই।
মধ্য জুনে লিগ শুরু: ফুটবলারদের পক্ষ থেকে আমি একটা কথা বলতে চাই। মাঠে নামার আগে আরও কয়েকটা দিন ট্রেনিং করতে পারলে ভাল হত।
কতটা আশাবাদী: লা লিগা যা করছে, অনেক ভেবেচিন্তেই করছে। আশা করব, সব কিছু ভাল ভাবেই চলবে এবং নতুন করে আর সংক্রমণ হবে না। এ ভাবে যদি সব কিছু চলে, তা হলে নিশ্চয়ই আমরা আবার আগের মতোই ফুটবল উপহার দিতে পারব।
আরও পড়ুন: ‘আত্মতুষ্ট ছিলাম, ভারতকে খাটো করে দেখেছিলাম’, ’৮৩-র বিশ্বকাপ ফাইনাল হার নিয়ে বললেন হোল্ডিং