কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
কুস্তি ফেডারেশনের কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন ভারতীয় কুস্তিগিরেরা। বিজেপির সাংসদ এবং কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌননিগ্রহের অভিযোগ করেছেন তাঁরা। অযোধ্যায় জনসমাবেশ করার কথা ছিল ব্রিজভূষণের। সেটা আপাতত স্থগিত করলেন তিনি।
কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কৃষকেরা। তাঁরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করতে চান। এর পরেই ব্রিজভূষণ সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান যে, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, সেই কারণে ৫ জুন অযোধ্যায় যে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল, আপাতত তা স্থগিত রাখলেন। অযোধ্যার সন্ন্যাসীদের ব্রিজভূষণের সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সমাবেশ বাতিল হওয়ার পর তাঁরা ব্রিজভূষণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এক সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, “ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পকসো আইনের অন্যায় ব্যবহার করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এই আইনের ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।”
মঙ্গলবার অলিম্পিক্স পদকজয়ী সাক্ষী, বজরংরা হরিদ্বার গিয়েছিলেন। সেখানে গঙ্গায় তাঁদের পদক ভাসিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাঁদের আটকে দেন কৃষক নেতারা। কুস্তিগিরেরা পাঁচ দিন সময় দেন। এর মধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা আবার আন্দোলনে নামবেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর করা হয়েছে। যদিও দিল্লি পুলিশ এখনও কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি।
ব্রিজভূষণ পাল্টা অভিযোগ করেছেন কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে। সভাপতি বলেন, “১৮ জানুয়ারি কুস্তিগিরেরা যখন যন্তর মন্তরের সামনে ধর্নায় বসলেন, তখন তাঁদের অভিযোগ ছিল এক রকম। কিছু দিন পর সেই দাবি পাল্টে গেল। আমি মহিলা কুস্তিগিরদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আমি কোথায়, কখন তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করেছি। কিন্তু কেউ আমাকে পরিষ্কার কোনও উত্তর দিতে পারেননি। কে কী বলছেন আমার বিরুদ্ধে, সেটা নিয়ে আমার কিছু যায়-আসে না।”