ইডেনে স্যাতসেঁতে উইকেট, প্র্যাক্টিস বিঘ্নিত মনোজদের

উইকেট ভিজে থাকলেও তা নিয়ে অবশ্য খুব একটা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন না বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলে। বরং উইকেট শোকাতে যে সময়টা নষ্ট হয়েছে, সেই সময় গুজরাত ক্রিকেটারদের খেলার ভিডিও মনোজ তিওয়ারিদের দেখান বাহুতুলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৯
Share:

ইডেনের প্র্যাকটিস উইকেট ভিজে থাকায় রবিবার অনুশীলন বিঘ্নিত হল বাংলার। সকাল সাড়ে ন’টা থেকে হাল্কা গা ঘামিয়ে এক ঘণ্টা ফিল্ডিং অনুশীলন করেন বঙ্গ ক্রিকেটাররা। কিন্তু তার পরেও দেখা যায়, উইকেটের ভিজে, স্যাঁতসেঁতে ভাব কমেনি। এগারোটা নাগাদ বাধ্য হয়ে মাঠের কর্মচারীদের রোলার চালিয়ে পিচ শোকানোর নির্দেশ দেন কোচ সাইরাজ বাহুতুলে। সে সময় অবশ্য মাঠে ছিলেন না স্থানীয় পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

পরে সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানতে চাননি, পিচ স্যাঁতসেঁতে ছিল। তাঁর দাবি, তিনি মাঠে থাকাকালীন উইকেট নিয়ে কোনও রকম অভিযোগ করেননি বাংলার ক্রিকেটাররা। এমনকী সেই উইকেটেই নাকি সকাল সাড়ে আটটা থেকে অভিমন্যু ঈশ্বরন ও ঋত্বিক রায়চৌধুরী নকিংও করেছেন। রবিবার সুজনবাবু বলেন, ‘‘সকাল থেকে প্র্যাক্টিস পিচেই স্কোয়্যার কাট ও পুল শট মারার অনুশীলন করেছে অভিমন্যু (ঈশ্বরন) ও ঋত্বিক (রায়চৌধুরী)। তখন একবারও আমাকে উইকেট স্যাঁতসেঁতে থাকার ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।’’ সঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘‘আমি ইডেন থেকে বেরিয়ে আসার পরে ঘটনাটি জানতে পারি। তখনই ফোন করে পিচ শোকানোর নির্দেশ দিই।’’

উইকেট ভিজে থাকলেও তা নিয়ে অবশ্য খুব একটা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন না বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলে। বরং উইকেট শোকাতে যে সময়টা নষ্ট হয়েছে, সেই সময় গুজরাত ক্রিকেটারদের খেলার ভিডিও মনোজ তিওয়ারিদের দেখান বাহুতুলে। সোমবার দুপুরে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে জয়পুর উড়ে যাচ্ছে বাংলা। তার আগে রবিবার অনুশীলন শেষে কোচের বক্তব্য, ‘‘যা আমাদের হাতের বাইরে তা নিয়ে আমি কী বা বলতে পারি। তবে হ্যাঁ, উইকেট স্যাঁতসেঁতে ছিল। কিন্তু আমরা বসে থেকে সময় নষ্ট করিনি। পিচ শোকানোর সময়টা আমরা বিপক্ষের ভিডিও দেখেছি এবং নিজেদের গেমপ্ল্যান তৈরি করার চেষ্টা করেছি।’’ উইকেট যে ভিজে ছিল, তা নেট অনুশীলন শুরু হওয়ার পরেই আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পেসারদের কোনও বল থমকাচ্ছে তো কোনওটা অদ্ভুত বাউন্স করে ব্যাটসম্যানের গ্লাভসে আঘাত করছে। প্রায় এক হাত করে বল ঘোরাতে দেখা গেল আমির গনি, প্রদীপ্ত প্রামাণিক ও অনুষ্টুপ মজুমদারকে। প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই নেটে ব্যাট করতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পরেন। অশোক ডিন্ডার বলে পাঁচবার আউটও হতে দেখা গেল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে।

Advertisement

তবে দিনের শেষে এ সব ভুলে নক আউটের দ্বৈরথের জন্য তৈরি হচ্ছে বাংলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement