প্রত্যাবর্তন: দু’বছর পরে ফের দেশের জার্সিতে নারাইন। —ইল চিত্র।
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহজেই হারিয়ে দিয়েছিল বিরাট কোহালির ভারত। কিন্তু পরের মাসে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হতে চলেছে, তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যালেঞ্জটা রীতিমতো কঠিন হতে চলেছে। কারণ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সেরা দল নিয়েই নামছে ভারতের বিরুদ্ধে।
আসন্ন সিরিজের প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্রিস গেল বাদে সব ক্রিকেটারকেই পাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মঙ্গলবার যে দল ঘোষণা করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচকেরা, সেখানে রাখা হয়েছে আন্দ্রে রাসেলকেও। তবে রাসেলকে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় পাশ করতে পারলে তবেই মাঠে নামতে পারবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হবে যথাক্রমে ৩ এবং ৪ অগস্ট, ফ্লরিডায়। তার পরে সিরিজের বাকি খেলা হবে ক্যারিবিয়ানে।
বিধ্বংসী ক্যারিবিয়ান ওপেনার গেল না খেললেও মোটেই দুর্বল নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বরং রীাতিমতো শক্তিশালী। ফেরানো হয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দুই গেমচেঞ্জারকে। সুনীল নারাইন এবং কায়রন পোলার্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওয়ান ডে খেলেছিলেন নারাইন। পরের বছরই সেপ্টেম্বরের পরে আর জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই স্পিনার। পোলার্ড অবশ্য গত বছর ভারতে এসেছিলেন টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে। কিন্তু বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তাঁকে এর পর থেকে দলের বাইরেই রাখা হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট হেনস বলেছেন, ‘‘বিশ্ব জুড়ে যে সব টি-টোয়েন্টি লিগ হয়, তাতে দাপটে খেলছে নারাইন, পোলার্ডরা। ওরা যখন মানসিক এবং শারীরিক ভাবে খেলার জন্য তৈরি, তখন সুযোগ দিতেই হয়।’’
বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেওয়া জেসন হোল্ডার টি-টোয়েন্টি দলে নেই। টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্বে দেবেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। মিডল অর্ডার ব্যাটিং সামলানোর দায়িত্বে আছেন শিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরানরা। যাঁরা বিশ্বকাপে বেশ ভাল ফর্মেই ছিলেন। এ ছাড়া পেসারদের মধ্যে রয়েছেন শেল্ডন কটরেল, ওশেন থমাস। দলে নতুন মুখ বলতে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান অ্যান্থনি ব্র্যাম্বেল।
ভারতও সমান শক্তিশালী দলই পাঠিয়েছে ক্যারিবিয়ানে। একটা সময় শোনা যাচ্ছিল, প্রথম দিকে সীমিত ওভারের ম্যাচগুলোয় বিশ্রামে থাকতে পারেন কোহালি। কিন্তু শুরু থেকেই দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। টি-টোয়েন্টি দলে রয়েছেন শিখর ধওয়ন, রোহিত শর্মার মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা। থাকছেন ঋষভ পন্থ, মণীশ পাণ্ডে, কে এল রাহুলরাও। বোলারদের মধ্যে বিশ্রামে আছেন যশপ্রীত বুমরা। বিশ্বকাপে ভাল খেলার ফলে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে রবীন্দ্র জাডেজাকে। নতুন মুখ হিসেবে আছেন পেসার নবদীপ সাইনি, দীপক চাহাররা। বুমরার অনুপস্থিতিতে পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব
দেবেন ভুবনেশ্বর কুমার। আইপিএলে যেমন রাসেল, নারাইন, পোলার্ডরা নিয়মিত ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করেন, তেমনই ভারতের নবদীপ, দীপকরা ওই একই মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করে দলে এসেছেন। এ বার আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করার পালা এই তরুণদের।
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: জন ক্যাম্পবেল, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান, কায়রন পোলার্ড, রভম্যান পাওয়েল, কার্লোস ব্রাথওয়েট (অধিনায়ক), কিমো পল, সুনীল নারাইন, শেল্ডন কটরেল, ওশেন থমাস, অ্যান্থনি ব্র্যাম্বেল, আন্দ্রে রাসেল, খেরি পিয়ের।