লভলিনা এবং মীরাবাই
লভলিনা বড়গোহাঁই, মীরাবাই চানুদের কি আগামী অলিম্পিক্সে দেখা যাবে না? রবিবার অলিম্পিক্স শেষ হওয়ার পরেই এই নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেল। এই দুই খেলার আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির (আইওসি) দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। ফলে আগামী অলিম্পিক্সে এই দুই ইভেন্ট না-ও দেখা যেতে পারে।
রবিবার আইওসি-র বৈঠকে অলিম্পিক্সের নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে। ফলে আইওসি-র হাতে চলে এসেছে আরও ক্ষমতা। ঠিক হয়েছে , কোনও খেলার আন্তর্জাতিক সংস্থা যদি আইওসি-র সিদ্ধান্ত না মানে বা অলিম্পিক্সের লক্ষ্যকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে, তাদের পূর্ণ সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হবে। এমনকি অলিম্পিক্স থেকেও সেই ইভেন্ট সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
এ বারের অলিম্পিক্সে প্রথম দিনেই ভারোত্তোলন থেকে ভারতকে রুপোর পদক এনে দেন মীরাবাই। তার কিছুদিন পরে লভলিনা ব্রোঞ্জ পান। মেরি কম, সতীশ কুমারও পদক জয়ের কাছাকাছি চলে এসেছিলেন। ভারোত্তোলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব বেশি না থাকলেও, প্রতি বারই অলিম্পিক্সের প্রচুর বক্সার যান এ দেশ থেকে। আইওসি-র নয়া সিদ্ধান্তে তাঁদের অংশগ্রহণ বিরাট প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারোত্তোলনের সঙ্গে ডোপিংয়ের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন সংস্থার অপেশাদার পরিচালন ব্যবস্থা এবং দুর্নীতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একই ব্যাপার বক্সিংয়ের ক্ষেত্রেও। সেখানেও নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। আইওসি চায়, যে সব খেলাধুলোর সঙ্গে এরকম ঝামেলা জড়িয়ে, তাদের বাদ দিয়ে নতুন খেলাকে সুযোগ দিতে। এ বারই স্কেটবোর্ডিং, সার্ফিং, রক ক্লাইম্বিং, ক্যারাটের মতো খেলা যুক্ত হয়েছে।