প্রাক্তন পাক পেসার ওয়াসিম আক্রম। —ফাইল চিত্র।
১৪ বছর তাঁরা একে অপরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছেন। কিন্তু এই ১৪ বছরে একে অপরের বিরুদ্ধে মাত্র সাতটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তাঁরা।
টেস্ট ক্রিকেটেই আসল পরীক্ষা দিতে হয় এক জন ক্রিকেটারকে। সেই পরীক্ষাই সে ভাবে হয়নি। তাই সচিন তেন্ডুলকর সম্পর্কে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারছেন না পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম।
১৯৮৯ সালে পাকিস্তানে অভিষেক হয়েছিল ১৬ বছরের সচিনের।
সেই টেস্টে ওয়াসিম-ওয়াকারের আগুনে বোলিং সামলাতে হয়েছিল ‘মাস্টার ব্লাস্টার’কে। ওয়াকার ইউনিসের বলে রক্তাক্ত হয়েছিলেন সচিন। ১০ বছর পরে ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের ভারত সফরে ফের সচিনকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পান আক্রম।
আরও পড়ুন: প্রথা ভেঙে পাল্টাচ্ছে আইপিএল ফাইনালের দিন?
সচিন প্রসঙ্গে প্রাক্তন বাঁ হাতি পেসার বলেন, ‘‘আমি সচিনের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালে প্রথম বার খেলি। তার পরের টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও দশ বছর।’’ সচিন সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে বসে আক্রম বলছেন, ‘‘সচিনের বিরুদ্ধে আমি টেস্ট ম্যাচ কম খেলেছি। তার ফলে লারা, পন্টিংদের সঙ্গে ওর তুলনা করতে পারছি না। তবে এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই সচিন ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি।’’ সচিনের বিরুদ্ধে ২৪টি ওয়ানডে খেলেছেন আক্রম। তার মধ্যে তিন বার ‘মাস্টার ব্লাস্টার’কে আউট করতে পেরেছেন আক্রম।
ব্রায়ান লারা প্রসঙ্গে বাঁ হাতি পাক পেসার বলছেন, ‘‘লারা অন্য ধরনের ব্যাটসম্যান। হাই ব্যাক লিফটে ও আমাদের বিরুদ্ধে অনেক রান করেছে।’’
প্রাক্তন অজি ক্যাপ্টেন রিকি পন্টিং সম্পর্কে আক্রম বলেন, ‘‘গোড়ার দিকে আমি পন্টিংকে আউটও করেছি। কিন্তু পরের দিকে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিল।’’ তবে আক্রমের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে কিউয়ি তারকা মার্টিন ক্রো। আক্রম বলেছেন, ‘‘মার্টিন ক্রো আমার খুব পছন্দের ব্যাটসম্যান। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু’টি সেঞ্চুরি করেছিল ক্রো। আমাকে আর ওয়াকারকে সামনের পায়ে খেলে বোকা বানিয়েছিল। ইনসুইং-আউটসুইং করেও ক্রোকে আউট করতে পারিনি। ক্রোকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি।’’