বিশ্ব দাবায় প্রথম দশে প্রত্যাবর্তন আনন্দের ফাইল চিত্র
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন। ৩২ মাস। মাঝের এই সময়ে বিশ্ব দাবার ক্রমতালিকায় প্রথম দশের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ভারতের প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দ। ২ জুন ফের প্রথম দশে ফিরলেন তিনি। প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভেসেলিন টোপালভকে হারিয়ে নবম স্থানে উঠে এসেছেন ভিশি।
চার দিন আগেই বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে সুপার ব্রিৎজ দাবায় হারিয়েছিলেন আনন্দ। তার পরে নামেন নরওয়ে দাবা প্রতিযোগিতায়। সেখানে টোপালভকে হারিয়ে ৪.৭ পয়েন্ট পান আনন্দ। তাঁর পয়েন্ট বেড়ে হয় ২৭৬০.৭০। ফলে ক্রমতালিকায় ছ’ধাপ উঠে নবম স্থানে চলে আসেন তিনি। দাবার ক্রমতালিকায় প্রথম ৩০ জনের মধ্যে আনন্দের বয়সই সব থেকে বেশি, ৫২ বছর। ‘বুড়ো’ বয়সেও ভেল্কি দেখাচ্ছেন তিনি।
আনন্দের এই কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত তাঁর বন্ধু তথা ভারতের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘‘আনন্দ প্রমাণ করে দিল বয়স কেবলই একটা সংখ্যা। প্রতিভা, মনের জোর আর পরিশ্রম করার ক্ষমতা থাকলে সাফল্য আসবেই। এই বয়সে ও যে ভাবে খেলছে সেটা তরুণদের শেখা উচিত। আনন্দকে কেন দাবার কিংবদন্তি বলা হয় সেটা আরও এক বার ও দেখিয়ে দিল।’’১৯৮৮ সালে ভারতের প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার হয়েছিলেন আনন্দ। তার পরে থেকে ৩৪ বছর ধরে খেলে চলেছেন তিনি। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম বার বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু হয়েছিলেন তিনি। টানা ২১ মাস প্রথম স্থান ধরে রেখেছিলেন। এখন খুব কম প্রতিযোগিতায় নামলেও তাঁর ধার যে কমেনি তা কার্লসেনকে হারিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন। চেন্নাইয়ে দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতীয় দলের ‘মেন্টর’ আনন্দ। সেই প্রতিযোগিতার আগে আনন্দের ফর্ম বাড়তি উৎসাহ দেবে ভারতীয় দাবাড়ুদের।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।