কুম্বলেকে চান বীরু।
ভারতের প্রধান নির্বাচক করা হোক অনিল কুম্বলেকে। এমনটাই দাবি করলেন দেশের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ। বর্তমানে ভারতের প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রসাদকে নিয়ে প্রশ্ন ভারতের ক্রিকেটমহলে। তাঁকে নিয়ে অসন্তোষ অনেকেরই। দেশের প্রাক্তন উইকেটকিপার প্রসাদ ভারতের হয়ে খেলেছেন মাত্র ১৩টি টেস্ট। ফলে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার।
‘নজফগড়ের নবাব’ মনে করেন, কুম্বলে যদি ভারতের প্রধান নির্বাচক হন, তা হলে প্রসাদকে যে সব প্রশ্ন হজম করতে হচ্ছে, সেগুলো তাঁকে শুনতে হবে না। ভারতের নির্বাচক প্রধানকে নিয়ে সমালোচনাও হবে না। কুম্বলের দল নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনও দিন প্রশ্নও করতে পারবেন না। বীরু বলছেন, ‘‘আমি প্রধান নির্বাচক পদের জন্য অনিল কুম্বলেকেই সঠিক প্রার্থী বলে মনে করি। সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে খেলেছেন কুম্বলে। কোহালি, ধোনিদের কোচিং করিয়েছে।’’ সুতরাং, প্রধান নির্বাচক হওয়ার তিনিই যে যোগ্যতম প্রার্থী, তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন সহবাগ।
কুম্বলে একা কত যে ম্যাচ জিতিয়েছেন ভারতকে, তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু, কুম্বলের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী যদি প্রধান নির্বাচকের পদে বসেন, তা হলে বিসিসিআই-কে সেই পদের সুযোগসুবিধাও বাড়াতে হবে। বীরু বলছেন, “এখন প্রধান নির্বাচক পদের জন্য যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে কুম্বলের মতো কেউ এই পদ গ্রহণ করতে রাজি নাও হতে পারেন। এই পদের বেতন বছরে এক কোটি। কুম্বলেকেই যদি প্রধান নির্বাচক করা হয়, তা হলে বেতনের অঙ্কটা অনেক বাড়াতে হবে।’’
বল এখন বোর্ডের কোর্টে। নির্বাচক প্রধানের পদে কি বসতে চান সহবাগ স্বয়ং? বীরু বলছেন, ‘‘স্বার্থের সংঘাত শব্দটাতেই তো যত সমস্যা। আমি যদি প্রধান নির্বাচক হই, তা হলে নিজের অ্যাকাডেমি চালাতে পারব না। এ ধরনের পদে থাকলে অন্য কিছু করা যাবে না কেন? সেটাই তো আমার বোধগম্য হয় না। আমি এখন কলাম লিখি, ধারাভাষ্য দিচ্ছি। কিন্তু, প্রধান নির্বাচকের পদে বসলে তো সে সব করতে পারব না।’’ ফলে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন সহবাগ। কিন্তু, কুম্বলের হয়েই গলা ফাটাচ্ছেন সহবাগ।