বীরেন্দ্র সহবাগ। ছবি ভিডিয়োগ্র্যাব থেকে নেওয়া।
এ বারের আইপিএলে কোন ক্রিকেটাররা একেবারেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি? বীরেন্দ্র সহবাগ বেছে নিলেন ৫ বিদেশিকে। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ারই ৩জন।
নিজের ওয়েব শো ‘বীরু কি বৈঠক’-এ সহবাগ প্রথমেই বলেছেন অ্যারন ফিঞ্চের কথা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে এ বারের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সিতে সাদামাটা দেখিয়েছে। ১২ ম্যাচে ২২.৩৩ গড়ে তিনি করেছেন ২৬৮ রান। সর্বোচ্চ ৫২। সহবাগের কথায়, “আমি ভেবেছিলাম ঠাকুর কোহালির কাছে ও আমার ডাক নাম ‘বীরু’ হয়ে উঠবে। কিন্তু মনে হয় ব্যাঙ্গালোরের অভিশাপেই ওর পারফরম্যান্স ঠিকঠাক হয়নি।”
ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের কথা এর পর বলেছেন সহবাগ। গত বারের সবচেয়ে মূল্যবান ক্রিকেটার রাসেল এ বার কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ১০ ম্যাচে করেছেন মাত্র ১১৭ রান, নিয়েছেন ৬ উইকেট। গত মরসুমে তাঁর গড় ছিল ৫৬-র বেশি। এ বার সেটাই নেমে এসেছে ১৩-তে। সহবাগ বলেছেন, “এই মরসুমে রাসেলকে কার্যকরী দেখায়নি। প্রতি ইনিংসেই আশা জাগিয়ে হতাশ করেছে ও। এই কারণেই কলকাতা প্লে-অফে উঠতে পারেনি।”
আরও পড়ুন: আমার দেখা সেরা ক্রিকেটার কোহালি, বলছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ
আরও পড়ুন: নেই রোহিত, বিরাট, নাসের হুসেনের সেরা আইপিএল একাদশে তিন উইকেটরক্ষক!
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনকেও এই তালিকায় রেখেছেন সহবাগ। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ১১ ম্যাচে ২৯.৯০ গড়ে ২৯৯ রান করেছেন তিনি। এক সময় ৩ ম্যাচে তাঁকে দলের বাইরে রাখাও হয়েছিল। সহবাগ বলেছেন, “সিএসকে-র ফ্যানদের মতো আমারও অনেক আশা ছিল এই ডিজেল ইঞ্জিনের (ওয়াটসন) থেকে। কিন্তু, অনেক বার কিক মারার পরও তা ঠিকঠাক স্টার্ট নেয়নি। আর মরসুমের শেষে ও হাল ছেড়ে দিয়ে অবসরের ঘোষণা করে দিল।”
আর এক অজি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কাছেও এ বারের আইপিএল দ্রুত ভুলে যাওয়ার মতো। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে ১৩ ম্যাচে ১৫.৪২ গড়ে ১০৮ রান করেছেন তিনি। সহবাগ মজার সুরে তিনি বলেছেন, “ম্যাক্সওয়েল যেন প্রচুর টাকা বেতন নিয়ে ছুটি কাটাতে এসেছিল।”
হতাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেনও। মাত্র ৩ ম্যাচ তিনি খেলেছেন। নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। গড় ১৩৩। যা এ বারের আইপিএলে সব বোলারদের মধ্যে জঘন্যতম। সহবাগ বলেছেন, “একটা সময় ছিল যখন সবাই স্টেনগানকে ভয় পেত। কিন্তু এই মরসুমে স্টেনগানকে দেখা যায়নি। বরং ঘরোয়া পাইপ গানের দেখা মিলেছে। যে ভাবে মার খেয়েছে, তা বিশ্বাস করা কঠিন। পরের মরসুমে এই গানকে কেউ নেবে বলে মনে হয় না।