অ্যান্ডারসনের শিকার কোহালি। ছবি রয়টার্স।
সিডনিতে ২০০৩ সালে একটি কভার ড্রাইভও না মেরে ২৪১ রান করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। কারণ, তার আগে একাধিক ইনিংসে ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হচ্ছিলেন তিনি। কিংবদন্তি সুনীল গাওস্কর মনে করেন, সিডনিতে সচিন যে ভাবে নিজেকে ফিরে পেয়েছিলেন, বিরাটও যেন সেই পদ্ধতি অবলম্বন করেন। প্রয়োজনে সচিনকে ফোন করে পরামর্শও চাইতে পারেন তিনি।
২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে মাত্র ১৩৪ রান করেছিলেন বিরাট। দেশে ফিরে সচিনের পরামর্শে নিজেকে অন্য ভাবে তৈরি করেন। এ বারও তিনি কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হতে পারেন বলেই মত গাওস্করের। বিরাট সাত রান করে জেমস অ্যান্ডারসনের বলে ফিরে যাওয়ার পরে সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে গাওস্কর বলেছেন, ‘‘ওর এখনই সচিনকে ফোন করে জানতে চাওয়া উচিত, কী করা যায়? সিডনিতে সচিন যে ভাবে ইনিংস সাজিয়েছিল, সে ভাবেই ইনিংস গড়া উচিত বিরাটের।’’ এমনকি গাওস্কর এও মনে করেন, ২০১৪ সালে অফস্টাম্পের বলে আউট হচ্ছিলেন বিরাট। এ বার তিনি ষষ্ঠ ও পঞ্চম স্টাম্পের বল তাড়া করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন।
হেডিংলেতে বিরাটের টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েও অনেকে বিস্মিত। ২০০২ সালে এমনই এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে সফল হয়েছিলেন সেই সময়ের ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম ইনিংসে ৬২৮-৮ স্কোরে সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন সৌরভ। সেঞ্চুরি করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়, সচিন তেন্ডুলকর ও সৌরভ নিজে। বুধবার টসে জিতে বিরাটের শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত কিন্তু জোরালো ধাক্কা খেয়েছে।
ইংল্যান্ডের জোরে বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড জানিয়েছেন, হেডিংলের পিচে প্রথম দিনই কিছুটা সাহায্য পান পেসাররা। তৃতীয় দিন থেকে কোনও রকম সাহায্য থাকে না। কোহালির ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তে তিনি বিস্মিত। ব্রডের টুইট, ‘‘প্রথম দিনে বল করার আদর্শ মাঠ হেডিংলে। সেখানে টস জিতে ব্যাট করার দুঃসাহস কেন দেখাল বিরাট? যত দিন যায়, এই পিচ ব্যাটসম্যানদের জন্য আদর্শ হতে থাকে।’’ মাইকেল ভন লিখেছেন, ‘‘ইংল্যান্ড নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছে। এ বার অ্যাশেজ নিয়েও চিন্তা নেই।’’ প্রাক্তন ভারতীয় পেসার মদন লালের টুইট, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য খুবই খারাপ একটি দিন।’’