সেঞ্চুরির পর বিরাট কোহালি। ছবি: এপি।
ভারত ৫৬৬/৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
আবার কোহালি। আবার বিরাট ইনিংস। প্রথম ২০০। সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে সে়ঞ্চুরি করে ফেললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। আউট হলেন ১১৩ রানে।। এদিন অধিনায়কোচিত ঢঙেই জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকালেন বিরাট কোহালি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খেলেছিল ভারতের ইনিংস। মুরলী বিজয়, চেতেশ্বর পূজারা দ্রুত প্যাভেলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর শিখর ধবনের সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন কোহালি। ৮৪ রানে ধবন আউট হতেই যেন পুরো দায়িত্বটাই এসে পরে বিরাটের চওড়া কাঁধে। কিন্তু এক বারের জন্যও তাঁকে দেখে মনে হয়নি টেনশনে আছেন তিনি। বরং প্রথম দিন তাঁর ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি আসার পর দ্বিতীয় দিনও সেই একই ছন্দে পাওয়া গেল তাঁকে। দ্বিতীয় দিন নিজের নামের পাশে ২০০ লিখে নেওয়ার পাশাপাশি দলের রানকেও পৌঁছে দিলেন ৪০০তে।
২৮১ বলে বিরাটের ২০০ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ২৪টি বাউন্ডারিতে। তিনি নিজেই অবশ্য বলে থাকেন তাঁর ব্যাট থেকে ছক্কা কমই আসে। এ দিন সেটা না এলেও ২০০ রান করতে নিলেন মাত্র বাড়তি ৮১ বল। তিনিই প্রথম অধিনায়ক যাঁর ব্যাট থেকে বিদেশের মাটিতে এল ডাবল সেঞ্চুরি। অজিঙ্ক রাহানে ২২ রানে আউট হওয়ার পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অপরাজিত ইনিংস ছিল ভারত ও বিরাটের জন্য বড় ভরসা ছিল। অশ্বিনের এই ১১৩ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি বাউন্ডারিতে। লাঞ্চের পর অবশ্য প্রথম বলেই বিরাটকে ফিরতে হল প্যাভেলিয়নে। ফর্মের শীর্ষে থাকা বিরাটের ব্যাট আরও কী চমক নিয়ে আসবে এই সিরিজে এখন সেই অপেক্ষায় অ্যান্টিগা।
৮ উইকেট হারিয়ে ৫৬৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দেন বিরাট কোহালি। বিরাট কোহালি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্যাভেলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন ঋদ্বিমান সাহা ও অমিত মিশ্রা। ঋদ্ধিমানের ৪০ ও মিশ্রার ৫৩ রানের সুবাদে ভারতের রান পৌঁছে যায় ৫৬৬তে।
আরও খবর
ভিভের মাঠে সেঞ্চুরিতে মস্তানি বিরাটের