বিরাট ও চহাল। টুইটার
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথম একাদশে ছিলেন না। রবীন্দ্র জাডেজা মাথায় চোট পাওয়ার পরে মাত্র কয়েক মিনিট সময় পান মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামার। ‘কনকাসন সাব’ হিসেবে। তার পরে চার ওভারে ২৫ রানে তিন উইকেট তুলে ম্যাচের সেরা হয়ে বেরিয়ে আসেন যুজ়বেন্দ্র চহাল। ওয়ান ডে সিরিজের ব্যর্থতা ভুলে কী করে এত দ্রুত পরিণত হলেন? চহাল জানিয়েছেন, তিনি নজর রাখতেন স্পিনারদের বোলিংয়ে। বিভিন্ন ভিডিয়ো দেখেই নিজেকে তৈরি করেন তারকা লেগস্পিনার।
প্রথম টি-টোয়েন্টির শেষে 'চহাল টিভি'-তে তিনি নিজেই সাক্ষাৎকার দিতে আসেন। সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। মায়াঙ্কের প্রশ্ন ছিল, ‘‘এত কম সময়ের মধ্যে কী করে নিজেকে ম্যাচ রেডি করলে?’’ চহালের উত্তর, ‘‘ম্যাচ না খেললেও লক্ষ্য করতাম স্পিনাররা কোন লাইন ও লেংথ ব্যবহার করে সফল হচ্ছে। দেখেছি, ওয়ান ডে-তে অ্যাডাম জ়াম্পা কতটা সাফল্য পেয়েছে। তখনই ঠিক করি, যে ভুলগুলো করেছি, তা শোধরাতে হবেই। ওয়ান ডে ক্রিকেটে অনেক বেশি ফ্লাইট দিয়ে বল করছিলাম উইকেট পাওয়ার তাগিদে। টি-টোয়েন্টিতে চেষ্টা করেছি রান আটকানোর। কারণ, এমনিতেও এই ফর্ম্যাটে ব্যাটসম্যান আক্রমণ করবেই।’’
ব্যাটসম্যান যখন তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ করার মনোভাব দেখান, তখনই উইকেট নেওয়ার সুযোগ খোঁজেন চহাল। মায়াঙ্ককে বলছিলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কেউ যদি স্টেপ আউট করে অথবা সুইপ মারার চেষ্টা করে, তখনই উইকেট নেওয়ার ফাঁদ পাতি।’’
রবিবার সিডনিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চহালই ভারতের তুরুপের তাস। তবে চোটের জন্য রবীন্দ্র জাডেজার না থাকাটা বড় চিন্তার কারণ বিরাট কোহালির কাছে। জাডেজার পরিবর্তে শার্দূল ঠাকুরকে নেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি দলে। এই সিডনিতেই ওয়ান ডে সিরিজ হেরে বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে পড়েন বিরাট। একই মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে সব উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ভারত অধিনায়ক।
সমস্যা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ারও। বাঁ-হাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার ছিটকে গিয়েছেন। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য ছেড়ে দেওয়া হল অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে। তাঁর জায়গায় শেষ দু'টি টি-টোয়েন্টির জন্য নেথান লায়নকে দলে নিল অস্ট্রেলিয়া। লায়ন শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও কোমরের চোটে কাবু। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি নিশ্চিত নন। শুক্রবার ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান তিনি। ফিঞ্চ খেলতে না পারলে নেতৃত্বের দায়িত্ব স্টিভ স্মিথকে দেওয়া হয় কি না, সেটাই দেখার। ডেভিড ওয়ার্নারের পরে ফিঞ্চের কোমরের চোট উদ্বেগ বাড়িয়েছে অস্ট্রেলীয় শিবিরে।
অস্ট্রেলিয়া যাঁকেই খেলাক না কেন, চহাল আত্মবিশ্বাসী। তাঁর পরিকল্পনা খেটে যাচ্ছে। যেমন, বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েডের ভিডিয়ো আগে থেকেই দেখেছিলেন। জানতেন, অফস্টাম্পে একেবারেই সাবলীল নন ওয়েড ও ডার্সি শর্ট। দুই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা সাজান তিনি? চহাল বলেছেন, ‘‘ওয়েডের একাধিক ভিডিয়ো দেখে বুঝতে পারি অফস্টাম্পের বলে শট খেলার ব্যাপারে দুর্বলতা আছে। ওয়েড যখন ব্যাট করছিল, তখন ওর অফসাইড বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য অনেক বেশি ছিল। তাই ক্রমাগত অফের বাইরে বল করে ওকে অধৈর্য করে তোলার চেষ্টা করেছি। সাফল্য পেলাম শেষ বলে।" ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে চহাল বলে যান, "এটা চহাল টিভি। আমার জায়গা কেউ নিতে পারবে না। সিডনিতে আরও এক বার সঞ্চালকের ভূমিকায় ফিরছি। দেখা হবে।"