বিদেশে জিতলে দ্বিগুণ পয়েন্টের পক্ষে বিরাট

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মে ঘরে এবং বাইরে একই রকম পয়েন্ট রাখা হয়েছে। বিদেশে জয়ের জন্য আলাদা কোনও বোনাস রাখা হয়নি। যা নিয়ে অনেকেই সরব।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

পুণে শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫২
Share:

বিরাট কোহালি।—ছবি এএফপি।

আইসিসি টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ‘পয়েন্ট সিস্টেম’ নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। বুধবার ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিও বলে দিলেন, ‘অ্যাওয়ে’ ম্যাচে দ্বিগুণ পয়েন্ট চান তিনি।

Advertisement

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মে ঘরে এবং বাইরে একই রকম পয়েন্ট রাখা হয়েছে। বিদেশে জয়ের জন্য আলাদা কোনও বোনাস রাখা হয়নি। যা নিয়ে অনেকেই সরব। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট বলে গেলেন, ‘‘যদি আমাকে পয়েন্ট টেবল গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হত, তা হলে অবশ্যই বাইরের মাঠে টেস্ট জয়ের পয়েন্ট দ্বিগুণ করে দিতাম।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘যদিও এটা টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম পর্ব। পরের বার দেখা যাক কী হয়।’’

টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও সিরিজের মোট পয়েন্ট সংখ্যা ১২০। ম্যাচের সংখ্যা অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে পয়েন্ট। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ম্যাচ পিছু পয়েন্ট ২৪। টাই হলে ১২ পয়েন্ট পাবে দুই দল। ড্রয়ের ক্ষেত্রে ৮ পয়েন্ট। অথচ দু’ম্যাচের সিরিজে প্রতি ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট করে পাবে জয়ী দল। ৩০ পয়েন্ট বরাদ্দ টাইয়ের জন্য। ড্রয়ের পয়েন্ট ২০। দেখা যাচ্ছে, দেশের মাঠে দু’ম্যাচের সিরিজে জিতলে যত পয়েন্ট পাওয়া যাবে, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ বা ২-০ হারিয়ে জিতলে তত পয়েন্ট তোলা যাবে না। সব চেয়ে দৃষ্টিকটূ লাগছে, দেশ-বিদেশের পার্থক্য না রাখা। কোহালির মন্তব্যে তাই পয়েন্ট প্রথা নিয়ে তর্ক বেড়ে যেতে বাধ্য।

Advertisement

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্যই যে দলগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে গিয়েছে, তা মানছেন ভারত অধিনায়ক। ভারতের অনুশীলনের সময় সেই তাগিদই ফুটে উঠল নেটে। অধিনায়ক নেটে ঢুকেই স্পিনারদের আক্রমণ করতে শুরু করলেন। সুইপ, রিভার্স সুইপ, স্লগ সুইপের সঙ্গেই স্টেপ আউট করে একাধিক শট মারছিলেন বিরাট। শুধু বিরাট নন, দ্রুত রান করার তাগিদ দেখা গেল চেতেশ্বর পুজারার মধ্যেও। স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্টেপ আউট করে একের পর এক বল পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন মাঠের বাইরে। যা তাঁর চরিত্রের একেবারে বিপরীত। গত ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তোলার পরিস্থিতিতে নেমে ১৪৮ বলে ৮১ রান করেছিলেন। বুধবার যেন সেই ছন্দেই শুরু করলেন। যা দেখে বলে দেওয়াই যায়, ম্যাচ জেতার তাগিদ অনেক বেড়ে গিয়েছে দলের।

সাংবাদিক বৈঠকে বিরাটকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘রোহিতই কি এখন টেস্ট দলের স্থায়ী ওপেনার?’’ বিরাটের জবাব, ‘‘এ ধরনের প্রসঙ্গ থেকে ওকে (রোহিত) একটু বিশ্রাম দেওয়া হোক। প্রথম টেস্টে ও কী করেছে, তা সকলেই দেখেছে। ওকে লাল বলের ওপেনিংটা উপভোগ করতে দিন।’’ প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিতের সেঞ্চুরির ফের প্রশংসা করেন বিরাট। ১৪৯ বলে ১২৭ রানের সেই ইনিংসের প্রসঙ্গ টেনে কোহালি বলেন, ‘‘প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যে ভাবে ও ব্যাট করেছে, তাতে বিপক্ষকে অলআউট করার জন্য অনেকটা সময় বেশি পেয়েছি। এ ভাবে চলতে থাকলে অনেক বেশি ম্যাচ জিতব আমরা।’’ প্রথম টেস্টে মহম্মদ শামির বোলিংয়ের প্রশংসাও করে গেলেন বিরাট। তাঁর সেই বিষাক্ত রিভার্স সুইং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১ রানে শেষ করে দিয়েছিল ডুপ্লেসিদের শিবিরকে। এ ম্যাচেও সে রকমই একটি ভয়ঙ্কর স্পেলের অপেক্ষায় সমর্থকেরা। বিরাট বললেন, ‘‘নিষ্প্রাণ পিচের সেরা পেসার অবশ্যই শামি। এখন আরও দায়িত্ব নিতে শিখে গিয়েছে। বুঝতে শিখেছে, কখন দলের ওকে প্রয়োজন। যে পিচে পেসারদের থেকে কিছু আশা করা যায় না, সেখানেও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শামির।’’

ভারতীয় পেসার যদিও বুধবারের ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসেননি। বিশ্রামে ছিলেন ইশান্ত শর্মা, ঋদ্ধিমান সাহাও। টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এখনও পর্যন্ত ১৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজ়িল্যান্ডের পয়েন্ট ৬০। দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতলে আরও ৪০ পয়েন্ট যোগ হবে ভারতের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement