ফাইল চিত্র।
নটিংহ্যাম পর্ব শেষ। সোমবার লন্ডনে পৌঁছল ভারতীয় দল। সূর্যকুমার যাদব ও পৃথ্বী শ যদিও নটিংহ্যামেই নিভৃতবাস পর্ব সারছেন। তাঁদের ছাড়াই ইংল্যান্ডের রাজধানীতে এসে পৌঁছল বিরাট-বাহিনী। ১২ অগস্ট থেকে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু লর্ডসে। যে মাঠে ভারতীয় দলের খেলা দেখতে উপস্থিত থাকবেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
লর্ডস মানেই ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এক আনন্দ আশ্রম। বাঙালিদের কাছে তো বটেই। এই মাঠেই অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করে টেস্ট ক্রিকেটে আবির্ভাব ঘটেছিল সৌরভের। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট জিতে লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সৌরভের জামা ওড়ানোর সেই ঘটনাও অমর হয়ে রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। আবার এই লর্ডসেই ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ হাতে তুলে নিয়েছিলেন কপিল দেব। ভারতের সঙ্গে এই মাঠের বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বিরাটরা নিশ্চয়ই চাইবেন, দ্বিতীয় টেস্ট জিতে লর্ডসের পরিবেশকে স্মরণীয় করে তুলতে।
লন্ডনে পৌঁছেই জিমে শারীরচর্চা শুরু করে দিয়েছেন অধিনায়ক। পাওয়ারলিফ্টিংয়ের একটি ভিডিয়ো তিনি তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। লিখেছেন, ‘‘পরিশ্রম কখনও থামে না।’’ শেষ ম্যাচে নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের প্রয়াসে মুগ্ধ ভারতীয় অধিনায়ক। রবিবার ম্যাচ শেষে বিরাট বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক দিন নেটে বাড়তি সময় দিয়েছে আমাদের নীচের সারির ব্যাটসম্যানেরা। ব্যাট হাতেও অবদান রাখার জন্য মরিয়া ছিল ওরা। তিন জন বোলারের ব্যাট থেকে ৫০ রান পাওয়া সোনার টুকরোর সমান।’’ যোগ করেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম, ৪০ রানে এগিয়ে থাকব। কিন্তু ওদের জন্যই ৯৫ রানে এগিয়ে যাই। সেখানেই মানসিক ভাবে চাঙ্গা হয়ে যায় দল।’’
শেষ তিন উইকেটে ৭০-এর উপরে রান যোগ হয়। অথচ ইংল্যান্ডের নীচের সারির ব্যাটসম্যানেরা দুই ইনিংসেই ২০ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি। বিরাট যদিও তুলনা চান না। বললেন, ‘‘প্রতিপক্ষ হিসেবে নীচের সারির ব্যাটসম্যানেরা রান করলে হতাশ লাগে। বোলাররাও অসহায় হয়ে পড়ে। তাই বুমরা যখন একের পর এক চার মারছে, তখন বিপক্ষের মনোভাব আমরা
বুঝতে পারছিলাম।’’
ব্যাট হাতে দাপটের সঙ্গে বল হাতেও বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন বুমরা। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট পান তিনি। ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন ভারতীয় পেসার। ভারতীয় সমর্থকদের একাংশ মনে করেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটেছে বুমরার। কারণ, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি সফল হতে পারেননি। ভারতীয় ওপেনার কে এল রাহুল মনে করেন, বুমরা বরাবরই সফল। প্রত্যাবর্তন ঘটানোর বিষয়টি কেন বার বার উঠে আসছে? রাহুল বলেছেন, ‘‘যে কোনও ম্যাচে, যে কোনও পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে ভারতের হয়ে পারফর্ম করেছে বুমরা। ও আমাদের দলের এক নম্বর বোলার। তা হলে কেন বলা হচ্ছে, বুমরা প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে? ও যে ভাবে খেলত, একই ভঙ্গিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সফল হয়েছে।’’
রাহুল মনে করেন, ২০টি উইকেট নেওয়ার ফলেই ম্যাচে জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ভারতের। তাঁর কথায়, ‘‘বুমরা, শামি, শার্দূল, সিরাজ প্রত্যেকেই ঠিক জায়গায় বল রেখে গিয়েছে। তাই ২০টি উইকেট তুলতে কোনও সমস্যা হয়নি।’’