প্রশ্ন: চিন্নাস্বামীতে পন্থ। উইকেট ছুড়ে দিয়ে কাঠগড়ায়। এএফপি
টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মোহালিতে এগিয়ে গিয়েও বেঙ্গালুরুতে নয় উইকেটে হার। ম্যাচের পরে প্রশ্ন উঠল, ফের চার নম্বরে কেন ঋষভ পন্থ? কেন শ্রেয়স আইয়ার নয়?
এই ম্যাচের আগে সুনীল গাওস্করের মতো প্রাক্তনরা পরামর্শ দিয়েছিলেন ঋষভকে পাঁচ নম্বরে খেলানোর জন্য। কিন্তু রবিবার বেঙ্গালুরুতে ৭.২ ওভারে তাব্রেজ় শামসির বলে শিখর ধওয়ন আউট হওয়ার পরেই দেখা যায়, প্যাভিলিয়ন থেকে ব্যাট করার জন্য বেরোচ্ছেন দুই ব্যাটসম্যান— ঋষভ পন্থ ও শ্রেয়স আইয়ার। পরে যদিও দেখা যায় পন্থ ব্যাট করতে নামছেন চার নম্বরে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি। প্রশ্ন উঠছে, ১২ ওভার বাকি রয়েছে, এই অবস্থায় শ্রেয়স কেন ঋষভের আগে নয়?
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনেও উঠল এই প্রশ্ন। যার উত্তরে ভারত অধিনায়ক বিরাট বলেই দিলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। আমার সেটাই মনে হয়েছে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ব্যাটিং কোচ দু’জনের সঙ্গেই কথা বলেছিলেন। কোন পরিস্থিতিতে কে আগে নামবে তা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। ব্যাপারটা সত্যিই মজার। কারণ ওই সময়ে ওরা দু’জনেই ব্যাট করতে যাচ্ছিল। দু’জনেই পিচে পৌঁছে গেলে আপনারা তিন জনকে ক্রিজে দেখতে পেতেন তখন।’’ বিরাটকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, চার নম্বরে তা হলে কার ব্যাট করতে নামার কথা ছিল? কোহালি জবাব দেন, ‘‘দশ ওভারের পরে হলে ঋষভের ব্যাট করতে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে হলে শ্রেয়সের নামার কথা ছিল। মনে হয়, ওই সময়ে ওরা দু’জনেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। ওই মুহূর্তে কে নামবে তা বুঝতে পারেনি।’’
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। প্রশ্ন উঠছে, পরে ব্যাট করা ঠিক সিদ্ধান্ত হত কি না?
ভারত অধিনায়ক যদিও বলছেন, চিন্নাস্বামীর পাটা উইকেটে আগে ব্যাট করাই ঠিক সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘পাটা উইকেটে আমরা আগেই ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। আগামী বছর বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এগোচ্ছে দল। সে ক্ষেত্রে এটাই ছিল আমাদের রণনীতি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ম্যাচে এ রকম অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে আমাদের। যেখানে আমাদের পরিকল্পনা ঠিক কাজ করেনি। রবিবার ছিল এ রকমই একটা দিন।’’ পাশাপাশি, দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের প্রশংসা করে বিরাট বলেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা দারুণ খেলেছে। পিচের থেকে পাওয়া সুযোগ দারুণ কাজে লাগিয়েছে ওরা। আমরা নিজেদের ছন্দটা খুঁজে পাইনি আজ।’’
বিরাট আরও জানান, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আগে ব্যাট করার থেকে রান তাড়া করা সহজ। ভারত অধিনায়কের কথায়, ‘‘ওয়ান ডে ক্রিকেটে বোলারের প্রত্যাবর্তনের একটা সুযোগ থাকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান তাড়া করা সহজ। কারণ এখানে ৪০-৫০ রানের একটা জুটিই হাত থেকে ম্যাচটা নিয়ে যেতে পারে। তখন আগে ব্যাট করে ২০০ রান স্কোরবোর্ডে রাখলেও কোনও দল চাপে পড়ে যেতে পারে।’’
দলের কম্বিনেশন নিয়েও ম্যাচের পরে মন্তব্য করেন বিরাট। বলেন, ‘‘দলে ঠিক কম্বিনেশন খুঁজে বার করার চেষ্টা করছি আমরা। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভাল পারফরম্যান্স করছে আমরা তাদেরই সুযোগ দিয়েছি। ব্যাপারটা কখনও এমন নয় যে, আমরা যাকে ইচ্ছা তাকেই খেলিয়ে দিচ্ছি। দলে অনেক তরুণ প্রতিভা রয়েছে। তাদের সুযোগ দিতে হবে।’’