রিওয় বিকাশের যুদ্ধ শেষ। ছবি: এএফপি
একটার পর একটা বাঁ হাতের ঘুসি আছড়ে পড়ছে চোয়ালে আর পদকের স্বপ্ন ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত উজবেকিস্তানের বেকতেমির মেলিকুজিয়েভের কাছে বিধ্বস্ত হয়েই রিং ছাড়তে হল বিকাশ কৃষাণকে। আর রিওয় অলিম্পিক্স বক্সিং থেকে পদক তোলার স্বপ্নটা অধরাই থেকে গেল ভারতের।
‘‘আমি যা করেছি, এর থেকে বেশি কিছু করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না,’’ ৭৫ কিলো বিভাগের বাউট শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে যখন কথাগুলো বলছিলেন বিকাশ, ডান দিকের চোখের কোন দিয়ে রক্ত ঝরছে। একটু আগে রিংয়ে যে লড়াইটা চলছিল, সেটা দেখতে দেখতে গা শিরশির করে ওঠাটা খুবই স্বাভাবিক। প্রচণ্ড মার খেয়ে দু’বার বিকাশের মাউথগার্ড ছিটকে পড়ে যায়। পাল্টা মার দেওয়ার প্রশ্নই ছিল না। বিকাশ হেরে গেলেন বিপক্ষের পাওয়ার, গতি এবং বাঁ হাতের কাছে। বেকতেমির ‘সাউথ্-প’। এবং এই বাঁ হাতের ঘুসিগুলোর কোনও জবাব ছিল না ভারতীয় বক্সারের কাছে। বিকাশ বলছিলেন, ‘‘ওর বাঁ দিক থেকে আসা মারগুলো আমি সামলাতে পারিনি। চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হল না। আসলে সাউথ্-প-দের বিরুদ্ধে আমরা, ভারতীয়রা, বরাবরই দুর্বল। আমি আক্রমণ করার চেষ্টা করেও পারিনি।’’
অলিম্পিক্সে আসার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেনিং নিয়ে এসেছেন বিকাশ। লাভটা তা হলে কী হল? ‘‘দেখুন আমরা যেটা শিখেছিলাম, সেটা হল, কী ভাবে পাওয়ার বক্সিংকে সামলানো যায়। কিন্তু বাঁ-হাতিদের বিরুদ্ধে লড়ার কায়দাটা শিখতে পারিনি। হেরে গেলাম সে জন্যই।’’ পদকের স্বপ্ন এ বারের মতো শেষ। এখন কী করবেন? বিকাশ বলে গেলেন, ‘‘পদক জেতার স্বপ্ন সবারই থাকে। আমারও ছিল। কিন্তু হল না, কী আর করা যাবে। চেষ্টা করব, পরের বার অলিম্পিক্স থেকে পদক জেতার। দেখা যাক কী হয়।’’