দাপট: কর্নাটককে ধাক্কা দিয়ে গুরুবাণী। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
রজনীশ গুরুবাণীর চোরা পেস ও সুইংয়ের ধাক্কায় দ্বিতীয় ইনিংসে কুপোকাত কর্নাটক। পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ের সুবাদে প্রথম রঞ্জি ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বিদর্ভ। দু’দিকেই বল সুইং করানোর ক্ষমতা দিয়ে আট বারের চ্যাম্পিয়নদের বিপাকে ফেললেন ইঞ্জিনিয়ার গুরুবাণী।
ইডেনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের চতুর্থ দিনের খেলায় লড়াকু প্রত্যাবর্তন বিদর্ভের। ১৯৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১১-৭ কর্নাটকের। জিততে এখনও ৮৭ রান বাকি। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও পনেরো ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে চার ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনিই। ক্রিজে ১৯ রানে অপরাজিত কর্নাটক অধিনায়ক বিনয় কুমার ও শ্রেয়স গোপাল। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে উমেশ যাদবের বলে গোপালের ক্যাচ ফেললেন ওয়াসিম জাফর।
গত দিনের অপরাজিত সতীশ ও ওয়াডকরকে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই প্যাভিলিয়নে ফেরালেন বিনি ও মিঠুন। বিনির বলে খোঁচা মেরে ৮১ রান করে সতীশ আউট হওয়াতেই ম্যাচ শেষ হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন বিনয় কুমাররা। তখনই বিদর্ভ ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন আদিত্য সরওয়াটে। তাঁর ৫৫ রানের লড়াকু ইনিংসে লিড বাড়ে বিদর্ভের। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর বিনয় কুমারের প্রথম ওভারেই এলবিডব্লিউ হন সরওয়াটে। যদিও শোনা যাচ্ছে বলটি তাঁর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগেছে। লাঞ্চ বিরতির আগেই ৩১৩ রানে অল-আউট বিদর্ভ।
ইডেনে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ১৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করা যে বেশ কঠিন তা প্রথম থেকেই বুঝিয়ে দিলেন রজনীশ গুরুবাণী, উমেশ যাদব, সিদ্বেশ নেরালরা। কর্নাটক ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই উমেশ সেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী বোলিংয়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন। গঙ্গাপারের হাওয়া শুরু হতেই আরও বিষাক্ত হয়ে ওঠে বিদর্ভের বোলিং। তৃতীয় ওভারেই ফিরতি বলে ক্যাচ নিয়ে ময়ঙ্ক অগ্রবালকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনিই। সেখান থেকে নেরাল ও গুরুবাণীই বেসামাল করে দেয় কর্নাটক ব্যাটিংকে। দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টায় খামতি রাখেননি করুণ নায়ার ও সি এম গৌতম। তাদের জুটি ৪০ রানের। তবুও কর্নাটকের ব্যাটসম্যানদের মুখ থুবড়ে পড়তে হল সেই গুরুবাণীর সামনে। পঞ্চম দিনে কোনও অঘটন না ঘটলে ফাইনালে এক নতুন দলকে পাচ্ছে রঞ্জি ট্রফি।