জয়ী: সোমা দত্ত (বাঁ দিকে)। নিজস্ব চিত্র
জাপানে ‘ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স গেমস’-এ যোগ দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন শিলিগুড়ির প্রবীণ ক্রীড়াবিদ সোমা দত্ত। আগামী বছর মে মাসে হবে ওই প্রতিযোগিতা। বডোদরায় সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে ষাটোর্ধ্ব বিভাগে হাই জাম্পে তিনি সোনা জিতেছেন। সেই কারণেই ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। জাপানের কানসাইতে ওই প্রতিযোগিতা হবে।
২০১৮ সালে মালেশিয়ার পেনাং-এ এশিয়ান প্যাসিফিক মাস্টার গেমসে যোগ দন সোমা। সেখানে হাইজাম্পে সোনা, লংজাম্পে রুপো পান তিনি। পেনাংয়ে সাফল্যের জন্য ইতালিতে ওয়ার্ল্ড ওপেন মিটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান গত বছর জুলাইয়ে। কিন্তু বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যাওয়ার জন্য ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারেননি তিনি। এরপরে চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেন তিনি।
এর আগে ২০১২ সালে এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে চিনের তাইপেতে অংশ নিয়েছিলেন সোমা। সেখানে হাইজাম্পে অংশ নিয়ে ষষ্ঠ হয়েছিলেন। সেই সাফল্যের কারণে ২০১৪ সালে ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়। সেখানে দশম স্থান পান তিনি। ১০৮টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন ওই প্রতিযোগিতায়।
এই বছর জাতীয়স্তরে হাইজাম্পে সোনা পাওয়ার সুবাদে জাপানে যাওয়ার সুযোগ মিললেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক পরিস্থিতি। স্পনসর জোগাড় না হওয়ায় কী ভাবে জাপান যাওয়ার খরচ উঠবে তা নিয়ে চিন্তায় সোমাদেবী। তিনি জানান, চিনের তাইপেতে যেতে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। সেবার পরিচিত, শুভানুধ্যায়ীরা আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলেন। শিলিগুড়ির তৎকালীন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত পুরসভার তরফে একবার সাহায্য করেছিলেন।
এ বার হাইজাম্পে জাতীয়স্তরে মাস্টার গেমসে সোনা জেতায় এই নিয়ে তিন বার ওই ইভেন্টে জাতীয়স্তরে সোনা জিতলেন সোমা দত্ত। ২০১৮ সালে চণ্ডীগড়ে, ২০১৯ দেরাদুনে এবং এ বছর গুজরাতে হয়েছিল জাতীয় প্রতিযোগিতা। চণ্ডীগড়ে হাইজাম্প ছাড়াও লংজাম্প এবং ১০০ মিটার দৌড়েও সোনা এনেছিলেন। সোমা বলেন, ‘‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে বাইরে যেতে খরচের ব্যাপার রয়েছে। স্পনসর বা পরিচিতদের সাহায্য না পেলে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’’