ফাইল চিত্র।
লর্ডস টেস্ট নিয়ে চর্চা অব্যাহত। ইংল্যান্ডের একটি সংবাদপত্র ফাঁস করেছে, দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ শুধুমাত্র মাঠেই সীমিত থাকেনি। তা গড়িয়েছিল লর্ডসের ‘লং রুম’ পর্যন্ত!
সাধারণত লর্ডসের ‘লং রুম’ হয়েই ক্রিকেটারেরা নিজেদের ড্রেসিংরুমের দিকে এগিয়ে যান। টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন ‘লং রুম’ ছেড়ে দেওয়া হয় মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যদের জন্য। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সেই ঘর ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেখানেই দু’দলের মধ্যে চলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন জেমস অ্যান্ডারসনকে একের পর এক বাউন্সার দিয়ে নাজেহাল করার পরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে লং রুমে ভারতীয় দলের সদস্যেরা অভিনন্দন জানান সতীর্থদের। সেই মুহূর্তেই জো রুট ও বিরাট কোহালির মধ্যে শুরু হয় বাগ্যুদ্ধ। যা চলে বেশ কিছুক্ষণ।
ইংল্যান্ডের এক সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে, ‘‘মাঠের মধ্যেই দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে বাক্যবিনিময় শুরু হয়। সেই ছবিও ছড়িয়ে গিয়েছে গণমাধ্যমে। কিন্তু লং রুমে পৌঁছনোর পরে দেখা যায়, ভারতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছেন।’’ যোগ করা হয়, ‘‘রুট ১৮০ রান করে মাঠ ছেড়ে ফেরার সময়ই বিরাটের সঙ্গে তাঁর তর্ক শুরু হয় লং রুমে। পরিস্থিতি হাতের বাইরেও চলে যেতে পারত, কিন্তু দুই অধিনায়কই নিজেদের মাথা ঠান্ডা করে ড্রেসিংরুমের দিকে এগিয়ে যান।’’
লর্ডসের লং রুম ফাঁকা থাকায় দু’দলের ক্রিকেটারদের বাগ্যুদ্ধ থামানোর জন্য কেউ ছিলেন না। যা তুলে ধরে ইংল্যান্ডের এই সংবাদপত্র। লেখা হয়েছে, ‘‘লং রুম ফাঁকা ছিল বলেই ঝামেলা বাড়তে শুরু করে। অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে বাউন্সার বৃষ্টি নিয়েও কথা হয়। চতুর্থ দিনও তাই মাঠের মধ্যে দু’দলের ক্রিকেটারেরা একাধিক বার তর্কে জড়িয়ে পড়েন।’’
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহালিও সেই বিতর্কের খানিকটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিরাট বলেছিলেন, ‘‘কী বলে আমাদের প্ররোচিত করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনতে চাই না। তবে এমন কিছু কথা হয়েছে যা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে বাধ্য করেছে। সেই মুহূর্তে কী বলা হচ্ছে, সেটা পরে প্রকাশ করা অর্থহীন।’’