—ফাইল চিত্র
এই মুহূর্তে পরিবার নিয়ে নতুন বছরের ছুটি কাটাচ্ছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আর তাঁর খেতের সবজিই এ বার রফতানি হতে চলেছে দুবাইয়ে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের খামার বাড়িতে উৎপন্ন সেই সবজি রফতানি করার বিষয় প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। এবং এই বিষয়ে মূল উদ্যোগ নিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকারের কৃষি দফতর।
করোনা অতিমারির কারণে লকডাউনের সময় ধোনি পরিবার নিয়ে ছিলেন রাঁচীতে তাঁর খামারবাড়িতে। সেখানেই তিনি বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ভাল ফলনের জন্য জমি চাষ করার জন্য নিয়ে আসেন ট্র্যাক্টরও। বিভিন্ন সময় ধোনির সেই তরিতরকারি দেখভাল করার ছবিও পোস্ট করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সবজি এ বার পাড়ি দিতে চলেছে মরুশহরে। শোনা গিয়েছে, অল সিজন ফার্ম ফেশ এজেন্সি দুবাইয়ে ধোনির ক্ষেতের সেই সবজি বিক্রি করার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছে। এটি সেই সংস্থা, যার মাধ্যমে ঝাড়খণ্ড সরকারের কৃষি দফতর এর আগে সবজি রফতানি করেছে উপসাগরীয় দেশগুলিতে। এই সংস্থার মার্কেটিং কমিটির প্রধান অভিষেক আনন্দ জানিয়েছেন, নতুন এই প্রকল্পের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড সরকারও সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ধোনি ব্র্যান্ডের এই সবজির সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের জনপ্রিয়তাও বাড়বে উপসাগরীয় দেশগুলিতে। এবং তার ফলে ভবিষ্যতে কৃষকরাও দারুণ উপকৃত হবেন। তিনি আরও জানান, যে সমস্ত সংস্থাগুলি আগে দুবাইয়ে তরকারি রফতানি করার বিষয়ে আদৌ আগ্রহী ছিল না, তারাও এ বার নিজেদের অবস্থান বদলাবে।
ঝাড়খণ্ডের সেম্বো গ্রামের রিং রোডের ধারে ধোনির বিশাল খামারবাড়ি রয়েছে। ৪৩ একরের সেই খামারবাড়িতে নিয়মিত ভাবে উৎপাদন করা হয় স্ট্রবেরি, কপি, টোম্যাটো, ব্রকোলি, মটর, পেপে ইত্যাদি। রাঁচীর স্থানীয় বাজারেও দারুণ জনপ্রিয়তা রয়েছে ধোনির খামারের কপি, টোম্যাটো এবং মটরের। তা এ বার বিদেশেও জনপ্রিয় করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সবজির সঙ্গে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মুরগি পালনের সঙ্গেও যুক্ত। কর্নাটক থেকে বিশেষ প্রজাতির কালো মোরগ তাঁর খামারবাড়ির পোলট্রিতে পাঠানো হয়ে থাকে। তবে এই মুহূর্তে নিজের নামের ব্র্যান্ডের সবজি দিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলিতে নতুন অভিযান শুরু করতে চলেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।