US open

ফাইনালে ‘নতুন নাদাল’ বনাম নরওয়ের তারা

তবে আর্লিং হালান্ডের দেশ নরওয়ের নতুন টেনিস তারকাকে ফাইনালের ছাড়পত্র আদায় করতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। তিনি রাশিয়ার কারেন হাচেনভকে হারিয়েছেন চার সেটে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
Share:

দ্বৈরথ: ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাস আলকারাজ় ও রুদের। রয়টার্স

টেনিস-বিশ্বের বহুচর্চিত ‘বিগ থ্রি’ সীমানা পেরিয়ে এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেন সাক্ষী হতে চলেছে নতুন অধ্যায়ের। যার কেন্দ্রে রয়েছেন এমন দুই মুখ যাঁদের একজনকে বলা হচ্ছে নতুন রাফায়েল নাদাল, দ্বিতীয় জন আবার স্পেনীয় কিংবদন্তির অ্যাকাডেমিতে নিয়েছেন টেনিসের পাঠ। আজ, রবিবার ভারতীয় সময় মধ্য রাতে হবে খেতাবি দ্বৈরথ। যিনি জিতবেন, যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ট্রফির সঙ্গে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরের স্থানও অর্জন করবেন।

Advertisement

কার্লোস আলকারাজ় এবং ক্যাসপার রুদকে নিয়ে এই মুহূর্তে জোর চর্চা চলছে টেনিস-গ্রহে। শুক্রবার কার্লোস পাঁচ সেটের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছেন ফ্লাশিং মেডোজ়ে এ বার জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ফ্রান্সেস টিয়াফোকে। তবে আর্লিং হালান্ডের দেশ নরওয়ের নতুন টেনিস তারকাকে ফাইনালের ছাড়পত্র আদায় করতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। তিনি রাশিয়ার কারেন হাচেনভকে হারিয়েছেন চার সেটে।

২০১৯ সালে রাফায়েল নাদালের পরে দ্বিতীয় স্পেনীয় হিসেবে ফ্লাশিং মেডোজ়ে ফাইনালে খেলতে চলেছেন আলকারাজ়। ৬-৭(৮), ৬-৩, ৬-১, ৬-৭ (৫) ও ৬-৩ ফলে টিয়াফোকে হারিয়ে স্পেনীয় তারকা বলে দিয়েছেন, “এক নম্বর আসনটা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু জানি এখনও অনেকটা হাঁটতে হবে আমাকে। প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু টিয়াফোর মতো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে পাঁচ সেটে ম্যাচ জেতার পরে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, আমি এখন এমন বড় মঞ্চে খেলার মতো উপযুক্ত হয়ে উঠেছি।” যোগ করেছেন, “এই ম্যাচটা জেতার জন্য নিজের সমস্ত কিছু উজাড় করে দিয়েছিলাম। ফাইনালে আবারও একটা কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করে রয়েছে। দুরন্ত এক জন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। ও ফাইনালে ওঠার যোগ্য। আগেও ফরাসি ওপেনে ফাইনালে খেলেছে। আমার এটাই প্রথম ফাইনাল।” যাঁর সঙ্গে সমানে লড়াই করেও শেষরক্ষা হল না, সেই টিয়াফো ম্যাচের পরে বলেন, “সব জায়গায় পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, তবে মেনে নেওয়া ভাল কার্লোসের শক্তিশালী গ্রাউন্ড শটগুলোর কোনও জবাব ছিল না আমার কাছে। ফাইনালে সেই কারণে ও-ই এগিয়ে থাকবে খেতাব দখলের লড়াইয়ে।” নাদাল তাঁর জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন ১৯ বছর বয়সে। তাঁর দেশের নতুন প্রতিনিধি সেই কীর্তি স্পর্শ করতে পারেন কি না, এখন সেটাই দেখার। পারলে তিনি কনিষ্ঠতম হিসেবে বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার নজির গড়বেন। যে রেকর্ড এখন রয়েছে লেটন হিউইটের। ২০০১ সালে ২০ বছর বয়েসে তিনি এক নম্বর হন।

Advertisement

রুদ আবার বাজিমাত করেছেন ভয়ঙ্কর ফোরহ্যান্ড শটে। শুক্রবার হাচেনভের বিরুদ্ধে তিনি জিতেছেন ৭-৬ (৫), ৬-২, ৫-৭, ৬-২ ফলে। নরওয়ের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে খেলবেন। তবে এই মরসুমে তিনি রয়েছেন দারুণ ছন্দে। ফরাসি ওপেন ফাইনালে উঠে হেরেছিলেন রাফায়েল নাদালের কাছে। ম্যাচের পরে রুদ বলেছেন, “এই ম্যাচটা সম্ভবত আমাদের খেলোয়াড় জীবনের সবচেয়ে বড় লড়াই হতে চলেছে।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement